ঈদের ছবির প্রযোজকেরা দুশ্চিন্তায়

বিক্ষোভ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। ছবি: সংগৃহীত
বিক্ষোভ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। ছবি: সংগৃহীত

ঈদে মুক্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চারটি নতুন সিনেমা। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, প্রেক্ষাগৃহ–সংকটে পড়তে পারে ছবিগুলো। এ নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রযোজকেরা।

গত শুক্রবার ৮১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব খানের বীর ছবিটি। নিয়মিত সিনেমা দেখানো হয় এ রকম ৬০টি প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি ‘বীর’ মুক্তি উপলক্ষে চালু করা হয়েছে আরও ২০টি প্রেক্ষাগৃহ। এ ছাড়া দু–একটি প্রেক্ষাগৃহে চলছে পুরোনো ছবি। ঈদের সময় খুলতে পারে বন্ধ থাকা আরও ২০ থেকে ৩০টি প্রেক্ষাগৃহ, এমন ধারণা করছেন প্রেক্ষাগৃহ মালিক সমিতির নেতারা।
সমিতির সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দীন বলেন, এবার ঈদে সব মিলে ১৩০ থেকে ১৪০টি প্রেক্ষাগৃহ খোলা থাকতে পারে। সঙ্গে সিনেপ্লেক্সের স্ক্রিনগুলো। অথচ গত বছর ঈদুল ফিতরে সিনেপ্লেক্সের বাইরেও প্রায় ৩০০ হল চালু ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে বড় বাজেটের চার ছবির মুক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঈদের ছবির প্রযোজকেরা। তাঁরা বলছেন, গত বছর ঈদুল ফিতরে চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি তখন প্রায় ৩০০ হল খোলা ছিল। এবার আগামী ঈদুল ফিতরে চার ছবির জন্য ২০০ হলও থাকছে না। এতে বিনিয়োগ উঠে আসা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রযোজকেরা।

মিশন এক্সট্রিম ছবির প্রযোজক সানি সানোয়ার জানান, ছবির দুটি পর্বই বানানো হয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে। প্রথম পর্বের খরচ প্রায় চার কোটি। কিন্তু যে কটি সিনেমা হল চালু আছে, তাতে ঈদে প্রদর্শন করে এই বিনিয়োগ তুলে আনা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ঈদে বড় ভলিউমের চারটি ছবি মুক্তি পাবে। কিন্তু হলের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ছবিগুলো যে কটি করে হল পাবে, তাতে টাকা উঠবে না কারওরই। শেষ পর্যন্ত সব প্রযোজকেরই লোকসান হবে।

মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরে মুক্তি নিশ্চিত করেছেন বিক্ষোভ ও শাহেনশাহ ছবি দুটির প্রযোজক সেলিম খান। প্রতিটি ছবির ব্যয় প্রায় তিন কোটি টাকা। সেলিম খান বলেন, ‘ঈদের সময় বড় বাজেটের ছবির বিনিয়োগ উঠে আসার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বর্তমানে হল এত কম, কোথায় চালাব ছবি? তারপরও যে কটি হলই পাই, মুক্তি দেব। কারণ, ঈদ ছাড়া এ ছবি মুক্তি দিলে আরও লোকসান হবে।’
শান ছবির প্রযোজক আজাদ খান জানান, তাঁর ছবির বাজেট আড়াই কোটি টাকার ওপরে। তিনি বলেন, হলের যে অবস্থা, তাতে সব প্রযোজকই দুশ্চিন্তায় আছেন। কারণ, ঈদের চারটি ছবিই বড় বাজেটের। এত কমসংখ্যক হল ভাগাভাগি করে মুক্তি দিয়ে কোনো ছবিই ব্যবসা করতে পারবে না, বিনিয়োগও উঠবে না।
তবে নেতারা মনে করেন, ঈদে যদি দুটি ছবি মুক্তি দেওয়া হয়, তাতে ছবি দুটি যে কটি প্রেক্ষাগৃহ পাবে, তাতে হয়তো লাভ উঠে আসতে পারে।