০০৭ কিছু সেরা গান

লিভ অ্যান্ড লেট ডাই ছবির জন্য গান করেছিলেন পল
লিভ অ্যান্ড লেট ডাই ছবির জন্য গান করেছিলেন পল

এ যেন এলাম, দেখলাম আর জয় করলাম! ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের গানে এর আগে অনেক বাঘা বাঘা গায়ক–গায়িকা কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৮ বছর বয়সী বিলি আইলিশের নামটা তাই সবার কাছে একটু বেমানানই মনে হয়েছিল প্রথমদিকে। বেশ ভারিক্কি আছে বিলির চিন্তা আর গায়কিতে। কিন্তু সেটা কি ঠিক জেমস বন্ডের সঙ্গে যায়?—এমন শঙ্কাও কম ছিল না।

শার্লি ব্যাসির ‘গোল্ডফিঙ্গার’ গানটি এখনো জনপ্রিয়
শার্লি ব্যাসির ‘গোল্ডফিঙ্গার’ গানটি এখনো জনপ্রিয়

অবশেষে জেমস বন্ড সিরিজের নো টাইম টু ডাই চলচ্চিত্রের শিরোনাম সংগীত সবার সব সন্দেহ দূর করল। সফলভাবে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই জেমস বন্ড সিনেমার জন্য করা গানে কণ্ঠ দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গ্র্যামিজয়ী আমেরিকান এই গায়িকা। ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউটিউবে উঠেছে গানটি।

‘নো টাইম টু ডাই’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন বিলি
‘নো টাইম টু ডাই’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন বিলি

বিলির আগে জেমস বন্ডে কণ্ঠ দিয়েছেন ডেম শারলি ব্যাসি, ডুরান ডুরান, লুলু ও ম্যাডোনার মতো শিল্পীরা। শুধু তা–ই নয়, ০০৭-এর সর্বশেষ দুটি চলচ্চিত্র স্কাইফল ও স্পেকট্রা–তে কণ্ঠ দিয়ে স্যাম স্মিথ ও এডেল দুজনই একটি করে অস্কার জিতে নেন।

‘উই হ্যাভ অল দ্য টাইম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ গানটি লুই আর্মস্ট্রংয়ের সেরা কাজের একটি
‘উই হ্যাভ অল দ্য টাইম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ গানটি লুই আর্মস্ট্রংয়ের সেরা কাজের একটি

প্রথম দিনেই বিলির ‘নো টাইম টু ডাই’ গানটি ইউটিউবে কয়েক লাখ বার দেখেছে মানুষ। প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে। বিলির গান তো সবাই পছন্দ করে ফেলেছে। কিন্তু জেমস বন্ডের জন্য গান গেয়েছেন এমন সবাই কি শ্রোতাদের মন ভরাতে পেরেছেন? চলুন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক জেমস বন্ড সিরিজের সফল কিছু গান ও শিল্পীদের কথা।

সেরা পাঁচ

১. নোবডি ডাজ ইট বেটার [চলচ্চিত্র: দ্য স্পাই হু লাভড মি (১৯৭৭)]
কার্লি সিমন
প্রথমবারেই কার্লি সিমনের গায়কিতে এবং ক্যারোল বেয়ার সেগারের লেখনীতে তৈরি এই গান সবার মন কেড়ে নেয়। গানটি যে শুধু অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল, তা–ই নয়, একই সঙ্গে জেমস বন্ডের তৃতীয় চলচ্চিত্রের এই গান পরবর্তীকালে কভার করেন অ্যামি মান, ড্যাম জুলি এন্ড্রুসহ আরও অনেকে। 

২. ডায়মন্ডস আর ফরেভার [ডায়মন্ডস আর ফরেভার (১৯৭১)]
শার্লি ব্যাসি
জন ব্যারি ও ডন ব্ল্যাকের এই শিরোনাম সংগীত ‘আইভর নভেলো সংরাইটিং অ্যাওয়ার্ড’ পাইয়ে দেয় এই যুগলকে। তবে পুরস্কারের চেয়েও বড় ছিল গানটি নিয়ে স্টিভেন স্পিলবার্গের কথাগুলো। তিনি ডায়মন্ডস আর ফরেভারকে ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় সবার ঊর্ধ্বে রাখেন।

৩. লিভ অ্যান্ড লেট ডাই [চলচ্চিত্র: লিভ অ্যান্ড লেট ডাই (১৯৭৩)]
পল ম্যাককার্টনি অ্যান্ড উইংস
শুরু থেকেই শ্রোতাদের হৃৎস্পন্দন থমকে দিয়েছিল গানটি। পরে এটি বিশ্বখ্যাত দল গানস এন রোজেসও কভার করে। শুধু তা–ই নয়, প্রথম বন্ডের কোনো গান হিসেবে এটিই অস্কারে মনোনয়ন পায়। 

৪. উই হ্যাভ অল দ্য টাইম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড [চলচ্চিত্র: অন হার ম্যাজিস্টি’স সিক্রেট সার্ভিস (১৯৬৯)]
লুই আর্মস্ট্রং
জন বেরির লেখনীতে গাওয়া এই গান আর্মস্ট্রং-এর শেষ জনপ্রিয় গানগুলোর অন্যতম একটি বলে মনে করা হয়। চলচ্চিত্রের মাঝপথে ব্যবহৃত এই গান ১৯৯৪ সালে পানীয়ের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়।

 ৫. গোল্ডফিঙ্গার [গোল্ডফিঙ্গার (১৯৬৪)]
শার্লি ব্যাসি
জন বেরি এখানে চেয়েছিলেন ভিলেনের জন্য গান তৈরি করতে। ফলাফল হিসেবে লেসলি এবং অ্যান্থনি বন্ড সিরিজের জন্য মনে রাখার মতো একটি গানের জন্ম দেন। 

 সাদিয়া ইসলাম
সূত্র: বিবিসি