একটা ভালোবাসা দিবসের, আরেকটা জন্মদিনের উপহার

নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: ফেসবুক।
নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: ফেসবুক।
>এবারের জন্মদিন একমাত্র বড় ভাইয়ের সঙ্গে কাটাবেন বলে প্যারিস থেকে স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে লন্ডনে চলে যান তিশা। ভাইয়ের সঙ্গে কাটানো দিনের কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানানোয় সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এ অভিনয়শিল্পী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্যারিস থেকে তিনি জানান জন্মদিন উদযাপনের কথা।

শুভ জন্মদিন

ধন্যবাদ।

গতকাল শুনলাম ফ্রান্সের উৎসবে। আজ দেখি লন্ডনে?
উৎসব শেষে কয়েকটা দিন সময় পেয়েছিলাম, তাই সরয়ার (মোস্তফা সরয়ার ফারুকী) বলল, চলো লন্ডনে চলে যাই। গতকাল বুধবার বিকেলেই প্যারিস থেকে লন্ডন চলে এসেছি। আমার খুব ইচ্ছে ছিল ভাতিজার সঙ্গে জন্মদিন পালন করার।

তিশাকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: ফেসবুক
তিশাকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: ফেসবুক

কেমন কাটল দিনটা?

অবশ্যই খুব ভালো কেটেছে। ভাইয়া থাকে লন্ডনে, আমি থাকি ঢাকায়। দুজনের দেখা হয় খুবই কম। তাই কাছাকাছি এসে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগটা মিস করতে চাইনি। প্যারিস থেকে লন্ডন এক ঘণ্টার ফ্লাইট। সরয়ারও বলল, চলো যাই। চলে এলাম। আজ সারা দিন পরিবারের সঙ্গে কাটাব। ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছাব।

জন্মদিন লন্ডনে উদযাপনের ভাবনা কি আপনার স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর?
সরয়ারের উৎসাহ ছিল ৭০ শতাংশ আর আমার ৩০। তাঁর উৎসাহ বেশি থাকার কারণ হচ্ছে, সে পুরো পরিকল্পনাটা জানত। ফ্রান্সের উৎসবে কোথায় কত সময় লাগবে। আমি পুরো শিডিউলটা জানতাম না। উৎসব শেষে সরয়ারই বলল, প্যারিসে বসে না থেকে চলো লন্ডনে চলে যাই। আমিও বললাম, চলো তাহলে। কারণ, ভাতিজার সঙ্গে জন্মদিন উদযাপনটা স্মরণীয় হবে। আমার হয়েছেও তাই।

নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: ফেসবুক
নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: ফেসবুক

এবারের জন্মদিন ও ভালোবাসা দিবস দুটিই দেশের বাইরে কাটল। কেমন ছিল?

ভালোবাসা দিবস আর জন্মদিন দুটিই ভালো কেটেছে। ভালোবাসা দিবস তো ভ্রমণ করে কেটেছে। ভালোবাসার মানুষটা কাছে ছিল বলেই ভালোবাসা দিবস ও জন্মদিন—দুটিই ছিল অসাধারণ। সত্যি কথা বলতে, ভালোবাসার মানুষ কাছে থাকলে, জলে, স্থলে, আকাশে যেখানেই থাকি না কেন—সবকিছু শান্তির।

নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: ফেসবুক
নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: ফেসবুক

বড় ভাইয়ের সঙ্গে কত বছর পর একসঙ্গে জন্মদিন পালন করলেন?

আমাদের পরিবারের একেকজন মানুষ একেক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। ভাইয়ের সঙ্গে অনেক বছর পর জন্মদিন পালন করলাম। অন্তত পাঁচ বছর তো হবেই। ভাইও ব্যস্ত থাকে, আমিও ব্যস্ত থাকি। এবার উৎসবে আসার কারণে সুযোগটা মিলে গেল। মাঝেমধ্যে ভাইয়েরা দেশে গেলে দেখা হয়। সবকিছু মিলিয়ে তাই আনন্দটা ছিল বেশি।

জন্মদিনে কী কী করলেন?
ভাবি অনেক রান্নাবান্না করেছেন। ভাইয়া কেক নিয়ে এসেছিলেন। ভাবি আমাদের সবার পছন্দের রান্না করেছেন। বাচ্চা নিয়ে এত পদের রান্না করেছে—এটাই আমাদের মুগ্ধ করেছে। ভাইয়ার বন্ধুরাও এসেছিলেন। সবকিছু মিলে একটা সুন্দর জন্মদিন কাটল।

নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: ফেসবুক
নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: ফেসবুক

ভেসুল উৎসবে আপনার অভিনীত ‘স্যাটারডে আফটারনুন’ ছবিটি দুটি পুরস্কার পাওয়ায় কেমন লাগল?

দুটি পুরস্কারের একটি ভালোবাসা দিবসের, আরেকটি জন্মদিনের উপহার হিসেবে ধরে নিয়েছি।