'কম্পোজার হওয়ার স্বপ্নটা হাবিব ভাইয়ের কাছে পেয়েছি'

শাহরিয়ার আলম মার্সেল। ছবি: ফেসবুক
শাহরিয়ার আলম মার্সেল। ছবি: ফেসবুক
>

তরুণ সংগীতশিল্পী শাহরিয়ার আলম, পরিচিতি মার্সেল নামে। পড়শী, বেলাল খান, অবন্তি সিঁথির সঙ্গে সংগীতায়োজন এবং নিজের মৌলিক গান নিয়ে ব্যস্ত। বর্তমান ব্যস্ততা এবং পরিকল্পনা নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

শুরুতে আপনার গানের নতুন খবর জানতে চাই।
আমার সংগীত আয়োজনে ‘আপন’ শিরোনামের একটি গান করছি। গানটি লিখেছেন মেহেদি হাসান। কণ্ঠ দেবেন ইমরান। গানটা মার্চে মুক্তি পাবে। এ ছাড়া গাল্লি বয় রানা এবং তাবিথ মাহমুদের সঙ্গে একটি গান নিয়ে ব্যস্ত আছি। আগামীকাল থেকে ঐশীর সাতটি গান পর্যায়ক্রমে রিলিজ হবে। লালন ফকিরের ‘কি কলাম’ শিরোনামের একটি গান করছি।

সংগীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে মুম্বাই মিউজিক স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন মার্সেল। ছবি: ফেসবুক
সংগীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে মুম্বাই মিউজিক স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন মার্সেল। ছবি: ফেসবুক


ভালোবাসা দিবসে বেশ কিছু গান করেছেন দেখলাম। কেমন সাড়া পেলেন?
ভালোবাসা দিবসে পাঁচটি গানের সংগীত আয়োজন করেছি। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিনার, কনা, কোনাল, ঐশী। নাটকের জন্য একটি গান আমি নিজেই গেয়েছি। মিজানুর রহমানের প্রতিদিন নাটকের ‘তুমি থাকো বহুদূরে’ শিরোনামের গানটি দিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পেয়েছি। এটাই আমার প্রথম নাটকের জন্য গাওয়া দ্বিতীয় মৌলিক গান।

সংগীতজীবনের শুরুর কথা শুনতে চাই
আমার শৈশব কেটেছে লক্ষ্মীপুরে। বড় বোনকে গান শেখাতে বাবা একটি গানের স্কুলে দিয়েছিলেন। কুমিল্লা থেকে একজন শিক্ষক এসে গান শেখাতেন। আমি পাশে বসে শুনতাম। ২০০০ সালে ঢাকায় চলে আসি। ২০০২ সালে নতুন কুঁড়িতে আবৃত্তি করে দ্বিতীয় হই। ২০০৪ সালে হই প্রথম। তখন থেকেই বাসার সবাই গাইতে উৎসাহ দেয়। সংগীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে মুম্বাই মিউজিক স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করি।

কম্পোজার হওয়ার স্বপ্নটা হাবীব ওয়াহিদের কাছে পেয়েছেন মার্সেল। ছবি: ফেসবুক থেকে
কম্পোজার হওয়ার স্বপ্নটা হাবীব ওয়াহিদের কাছে পেয়েছেন মার্সেল। ছবি: ফেসবুক থেকে


প্রথমে আপনার ফোক গানের দিকে ঝোঁক ছিল?
গানটা আমার কাছে একটা ভ্রমণের মতো মনে হয়। আগে ফোক ভালো লাগত, এখন একটু রোমান্টিক স্যাড চেষ্টা করি। সম্প্রতি আমার গাওয়া একটি লালন ফকিরের গান আসছে। আমি ভারতের ক্ল্যাসিক যেমন পছন্দ করি, তেমনি ভৈরবী, শ্যামাসংগীত, হিপ হপ, এ আর রাহমান শুনি। সংগীত নিয়ে আমি ধরাবাঁধা ধারার মধ্যে থাকতে চাই না। সব মাধ্যমেই আমি কাজ করতে চাই।

আপনার পছন্দের গান কোনটি?
‘কোল্ডপ্লে’ ব্যান্ডের ‘সিক্স ইউ’ গানটি আমার খুবই প্রিয়। মন খারাপ থাকলে কিংবা মনটা ফুরফুরে থাকলে গানটি গাই। আমার খুব ইচ্ছে, যদি কোনো দিন এই ব্যান্ডের গান সামনে থেকে শোনার সুযোগ পাই, তাহলে আমি বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে চিৎকার করে দাঁড়িয়ে কাঁদতে চাই। গানটি শুনলে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। ব্যান্ডের সবাই আমার আইডল।

শাহরিয়ার আলম মার্সেল। ছবি: ফেসবুক
শাহরিয়ার আলম মার্সেল। ছবি: ফেসবুক


বাংলাদেশে আপনার আইডল কে?
হাবিব ওয়াহিদ ভাই। আমার মিউজিক্যাল জার্নিতে হাবিব ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। ভাইয়ের অনেক গান আমাকে চমকে দেয়, আমার ভেতরে নাড়া দিয়েছে। আমি যে কম্পোজার হব, সেই স্বপ্নটা হাবিব ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছি। ভাইয়ের সঙ্গে অনেকবার বিভিন্ন প্রোগ্রামে দেখা হয়েছে, কিন্তু ভাই মনে হয় এখনো জানেন না তিনি আমার কতটা প্রিয়। মানুষ হিসেবে ফাহমিদা নবী ও বাপ্পা মজুমদার আমার ভীষণ ভীষণ প্রিয়।

শুরুটা গানে কণ্ঠ দিয়ে, এখন সুর এবং সংগীতেও আপনার বিচরণ
প্রথম দিকে গানে কণ্ঠ দিয়েছি। এখনো মাঝেমধ্যে গান গাই। কিন্তু আমার সুর ও সংগীত আয়োজন করা বেশি পছন্দ। তা ছাড়া আমি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিজেকে আটকে ফেলতে চাই না। নিজের তৈরি করা সুর–সংগীত যখন বিভিন্ন শিল্পীর মুখে ভিন্ন ভিন্নভাবে গাইতে শুনি, তখন একটা ভিন্নতা খুঁজে পাই। এই ভিন্নতাই আমাকে আনন্দ দেয়। সংগীতকে আমার মনে হয় একটা জার্নির মতো। এটা একটা স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে ছুটতে থাকবে।

গানটা শাহরিয়ারের কাছে একটা ভ্রমণের মতো মনে হয়। ছবি: ফেসবুক
গানটা শাহরিয়ারের কাছে একটা ভ্রমণের মতো মনে হয়। ছবি: ফেসবুক


নিজে আবার গাইবেন কবে?
এই মুহূর্তে অনেক কাজ নিয়ে ব্যস্ততা চলছে। ইচ্ছে আছে আগামী বৈশাখে নিজের জন্য দুটি গান তৈরি করব। দুটি গানই আলাদা ধারায় গাইব। একটি স্যাড রোমান্টিক রিদমে, অন্যটি রোমান্টিক ফোক রিদমে।