তারকাদের খবর কেটে কেটে রাখতাম

সারিকা সাবাহ। ছবি: খালেদ সরকার।
সারিকা সাবাহ। ছবি: খালেদ সরকার।

বছর দুই আগেও সারিকা সাবাহর জীবন ছিল সাদামাটা। বিশ্ববিদ্যালয় আর বন্ধুদের আড্ডায় কেটে যেত সময়। এখন আর তেমনটা হয় না। ফ্যামিলি ক্রাইসিস নাটকের ঝুমুর হয়ে বদলে গেছে তাঁর জীবন। আজ রাতে এনটিভিতে দেখা যাবে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল পরিচালিত নাটকটি। কথা হলো সারিকার সঙ্গে। জানালেন নিজের স্বপ্নের কথাও।

কোন নামটা বেশি প্রিয়, সারিকা নাকি ঝুমুর?
এখন আমি ঝুমুর নামটিকে নিজের আরেকটা নাম মনে করি। রাস্তাঘাটে অনেকে আমাকে ঝুমুর আপু বলে ডেকে ওঠে।

ঝুমুর চরিত্রটা?
প্রথম দিকে ভাবতাম, আমার নামটা থাকলেই ভালো হতো। এখন মনে হয়, আমি সার্থক। চরিত্রটার সার্থক রূপায়ণ করতে পেরেছি বলেই সবাই আমাকে ঝুমুর নামে ডাকে। এটা আশীর্বাদ।

অভিনয় করতে এলেন কেন?
কম বয়সে নানা ফ্যাসিনেশন থাকে। অভিনয়ের ব্যাপারটিও সে রকম। শৈশব কেটেছে রংপুরে। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়েছি। পথে বড় বড় বিলবোর্ডে ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনগুলোয় তাকিয়ে থাকতাম। প্রথম আলোয় প্রকাশিত তারকাদের খবর কেটে কেটে রাখতাম। মেরিল–প্রথম আলোয় কোন তারকা কোন পোশাক পরতেন, সেসব ফলো করতাম। ভাবতাম, একদিন আমার খবরও ছাপা হবে। এভাবেই শুরু। বাসা থেকে কেউ সাপোর্ট করেনি। বিনোদন অঙ্গন নিয়ে কারও ধারণা ছিল না। যখন দেখল ভালো করছি, তখন থেকে সবাই সাপোর্ট দিয়েছে। প্রথম কাজটায় অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন সপ্তম সেমিস্টারে, তখন প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করি।

নাটক করতে কেমন লাগছে?
বিজ্ঞাপনচিত্রে অল্প সময়ের উপস্থিতিতে অভিনয়ের মজা বুঝতাম না। নাটক করতে গিয়ে সেটা পেতে শুরু করি। ফ্যামিলি ক্রাইসিস আমার আরেকটা পরিবার হয়ে উঠেছে। শুটিংয়ের সময় মনে হয় পিকনিক। আসলে আমি চরিত্রলোভী। ঝগড়াটে, খল চরিত্র—এসবের লোভে একটার পর একটা কাজ করছি।

কোন ধরনের চরিত্রের প্রতি বেশি লোভ?
ছোট থেকে প্রচুর বই পড়তাম। হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। হুমায়ূন আহমেদের নায়িকাদের চরিত্রগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাঁর যেকোনো একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পারলে আমার ভীষণ ভালো লাগবে।

হুমায়ূন আহমেদের কোন চরিত্র বেশি টানে?
রূপা। ছটফটে, স্বতঃস্ফূর্ত একটি চরিত্র। তবে হুমায়ূন আহমেদের যেকোনো চরিত্র করতে পারলে আমার স্বপ্ন সত্য হবে।

ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?
ইচ্ছে ছিল আর্কিটেক্ট হব, ভর্তিও হয়েছিলাম আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হই। কোচিং করার জন্য ঢাকায় আসি। আমার কারণে বাবা–মাকেও চলে আসতে হলো।

অভিনয়ের ব্যস্ততা জীবন থেকে কী কী কেড়ে নিয়েছে?
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে এসে বড় একটি সার্কেল তৈরি হয়েছিল। আগে অনেক আড্ডা হতো। শুটিংয়ের কারণে এখন আর হয় না। পারিবারিক অনেক অনুষ্ঠানে যেতে পারি না।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে?
অভিনয় করতে এসে আমার স্বপ্ন বড় হয়েছে। সিনেমায় অবশ্যই অভিনয় করার ইচ্ছে আছে। কিন্তু অভিনয়টা আরও শিখে সেখানে কাজ করতে চাই।