পুরস্কার পাওয়ার তিন দিন পর জেলে

ইরানি চলচ্চিত্রকার মোহাম্মদ রসৌলফ। ছবি: সংগৃহীত
ইরানি চলচ্চিত্রকার মোহাম্মদ রসৌলফ। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্রকার মোহাম্মদ রসৌলফকে সিনেমা বানাতে নিষেধ করা হয়েছিল। তিনি শোনেননি। লুকিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন। দেশের বাইরে যাওয়ায় ছিল নিষেধাজ্ঞা। নিজে না গেলেও বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেয় তাঁর সিনেমা ‘দেয়ার ইজ নো এভিল’। উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন বিয়ার জিতে নেয় ছবিটি। পুরস্কার পাওয়ার তিন দিন পর তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

মোহাম্মদ রসৌলফ নিজের সময়ের ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী চলচ্চিত্রকার। অথচ সেখানে তিনি নিষিদ্ধ। তাঁর কোনো ছবিই নিজের দেশে প্রদর্শিত হয়নি। ২০১১ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে দুটি পুরস্কার জিতে নেয় সেন্সরশিপের ওপর নির্মিত তাঁর ছবি ‘গুডবাই’। সরকারবিরোধী প্রচারণা চালানোর অপরাধে সে বছর তাঁকে ও আরেক পরিচালক জাফর পানাহিকে ৬ বছর কারাদণ্ড এবং সিনেমা বানানোর ওপর ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও পরে সেই সাজা স্থগিত করে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে ইরানের দুর্নীতি ও অবিচারের ওপর নির্মিত সিনেমা ‘এ ম্যান অব ইন্টেগ্রিটি’-এর জন্য তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

রসৌলফের আইনজীবী নাসের জারাফশান এপিকে বলেন, বুধবার একটি খুদে বার্তার মাধ্যমে রসৌলফের এক বছর জেল হওয়ার খবর জানানো হয়। এই আইনজীবী জানান, রসৌলফ কর্তৃপক্ষের হাতে নিজেকে তুলে দেবেন না, বরং আপিল করবেন।

রসৌলফকে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয়নি ইরান সরকার। বরং তাঁর কন্যা বরন রসৌলফ বাবার হয়ে গত শনিবার পুরস্কার গ্রহণ করেন। সূত্র: ভ্যারাইটি