হ্যাঙ্কস দম্পতি গিয়েছিলেন, তাই ধুয়েমুছে সাফ অপেরা হাউস

সিডনির অপেরা হাউসে টম হ্যাঙ্কস ও রিটা উইলসন দম্পতি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সিডনির অপেরা হাউসে টম হ্যাঙ্কস ও রিটা উইলসন দম্পতি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বিশ্ব জানল, করোনা চেনে না দুবার অস্কারজয়ী ‘ফরেস্ট গাম্প’খ্যাত টম হ্যাঙ্কস ও তাঁর স্ত্রী অভিনয়শিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী ও প্রযোজক রিটা উইলসনকে। ভাইরাসটি ঠিকই বাসা বেঁধেছে এই তারকা দম্পতির শরীরে। এখন তাঁদের সবার থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে চিকিৎসা চলছে। আজ সকালেও হাসপাতাল থেকে হাসিমুখে ছবি দিয়ে তাঁদের বর্তমান অবস্থা জানিয়েছেন।

বিলবোর্ড জানায়, রিটা উইলসন চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসের দ্য বেভারলি হিলটন হোটেলে প্রি গ্র্যামি গালা ও গ্র্যামি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে যাঁরা এই দম্পতির সংস্পর্শে এসেছেন, ছবি বা সেলফি তুলেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গরোধ) পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।

অপেরা হাউসের সামনে রিটা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
অপেরা হাউসের সামনে রিটা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অন্যদিকে, সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন রক সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা এলভিস প্রিসলির বায়োপিকের শুটিংয়ে টম হ্যাঙ্কস অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। সঙ্গে আসেন স্ত্রী রিটা উইলসন। অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখে এই দম্পতি সিডনির অপেরা হাউসে যান। সেই সময় যাঁরা এই দম্পতির সঙ্গে ছবি তুলেছেন বা কাছাকাছি ছিলেন, সেসব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ভক্তদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে। এক মুখপাত্র সিএনএনকে জানান, ‘অপেরা হাউস এখন এনএসডাব্লিউ হেলথ এবং কুইন্সল্যান্ড হেলথ—এই দুটো প্রতিষ্ঠানের অধীনে আছে। অপেরা হাউস জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। মানুষকে আতঙ্কিত না করে যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।’

টম হ্যাঙ্কস ও রিটা উইলসন দম্পতি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
টম হ্যাঙ্কস ও রিটা উইলসন দম্পতি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

টম হ্যাঙ্কস গতকাল ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান, তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর ঠান্ডা-জ্বর, গায়ে ব্যথা। এসব লক্ষণের পর তাঁরা করোনার জীবাণু আছে কি না তা পরীক্ষা করান। আর লেখেন, ‘পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, আমরা উভয়েই করোনায় আক্রান্ত। প্রশ্ন হলো, এখন কী হবে? ডাক্তারের পরামর্শমতো চলতে হবে। আমাদের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হবে। একই সঙ্গে বাকি পৃথিবীর সুরক্ষার জন্য সবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা (আইসোলেশন) হবে। প্রথম দিনে এর চেয়ে আর বেশি কী বলব? আমাদের হালনাগাদ তথ্য জানাতে থাকব।’