করোনায় পাল্টে যেতে পারে পয়লা বৈশাখ উদযাপন

করোনার প্রভাব থাকলে অন্য উপায়ে পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন। ফাইল ছবি/প্রথম আলো
করোনার প্রভাব থাকলে অন্য উপায়ে পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন। ফাইল ছবি/প্রথম আলো

বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ওপর আঘাত হানছে করোনাভাইরাস। কোথাও সিনেমা হল বন্ধ, কোথাও শুটিং বন্ধ, মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনো কোনো চলচ্চিত্রের। এ পরিস্থিতিতে সমাবেশ এবং ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এপ্রিল মাসে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিকল্প ব্যবস্থায় পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনুষ্ঠান হতে পারে। প্রয়োজনে আগে অনুষ্ঠান ধারণ করে পয়লা বৈশাখের দিন তা প্রচার করা হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনারকক্ষে পয়লা বৈশাখ উদযাপনে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে কে এম খালিদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে জনসমাগমের কোনো আয়োজন না করার। সে জন্য আমরা পয়লা বৈশাখ উদযাপনের বিষয়টি নিয়ে আরও অপেক্ষা করতে চাই। সমাবেশ করতে না পারলে বিকল্প ব্যবস্থায় পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ উদযাপনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে। করোনার গতি-প্রকৃতির ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে।’

আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকের শুরু থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে কীভাবে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করেন।

শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনারকক্ষে পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপনে আন্তমন্ত্রণালয় সভার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনারকক্ষে পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপনে আন্তমন্ত্রণালয় সভার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে আরও ১০ দিন পর একটি বৈঠক এবং এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে আরেকটি বৈঠক করে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এর মধ্যে আমরা করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখব।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিসচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর, শিল্পকলা একাডেমির সচিব বদরুল আনাম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন, ছায়ানটের সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল প্রমুখ।