করোনায় আক্রান্ত হলিউড তারকা ইদ্রিস এলবা

ইদ্রিস এলবা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ইদ্রিস এলবা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

রোগের কোনো উপসর্গ নেই তাঁর শরীরে। অনুভব করছেন না শারীরিক অসুস্থতাও। কিন্তু শুক্রবার তিনি যখন জানতে পারেন এক করোনা–আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন তিনি, তখনই নিজ উদ্যাগে পরীক্ষা করান। আর জানতে পারেন, কোভিড–১৯ ভাইরাস বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে।

টুইটারে এক বার্তায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছেন। ভক্তদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইদ্রিস। সবাইকে তিনি বলছেন, বাড়িতেই থাকুন। ইদ্রিস বাড়িতে আছেন বলে জানান। টুইটারের ভিডিও বার্তায় তাঁর সঙ্গে হাজির হন স্ত্রী সাবরিনা ডৌরি। তিনি কোনো পরীক্ষা করেননি। তিনিও ভালো আছেন বলেই মনে করছেন।

ইদ্রিস এ–ও যোগ করেন, ‘স্বচ্ছতা এখন খুব জরুরি। আপনি যদি অসুস্থ বোধ করেন কিংবা অনুভব করেন পরীক্ষার, নয়তো কোনো উপসর্গ শরীরে দেখা যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিন।’

ইদ্রিস এলবা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ইদ্রিস এলবা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

৪ মার্চ লন্ডনের উইম্বলি এরেনায় ‘উই ডে’ ইভেন্টে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী সোফি গ্রেগরি ট্রুডোর সঙ্গে অতিথি হিসেবে ছিলেন ইদ্রিসও। সোফিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। ইদ্রিস জানিয়েছেন, তিনি তাঁর সব তথ্য নিয়মিত জানাতে থাকবেন।

এর আগে হলিউড তারকা টম হ্যাংকসও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। টানা কয়েক দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন টম হ্যাঙ্কস ও রিটা উইলসন। গত সোমবার রাতে তাঁদের ছেলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানান, তাঁর মা–বাবা সুস্থ আছেন। এখন কুইন্সল্যান্ডে নিজেদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে আছেন তারকা দম্পতি।

গেল সপ্তাহে টম হ্যাংকস ও তাঁর স্ত্রীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন কুইন্সল্যান্ডের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ৬৩ বছর বয়সী টম হ্যাঙ্কস ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের তাঁর করোনা–আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। পরদিন সকালে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে টম হ্যাঙ্কস জানান পরবর্তী আপডেট। হাসপাতালে একটা হাসিমুখের ছবি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমার আর রিটার পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের শরীরে কোভিড নাইনটিন (করোনাভাইরাসের নাম) রয়েছে বলে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন (আইসোলেশন) রাখা হয়েছে। আপাতত আমরা আর এই ভাইরাস ছড়াচ্ছি না।’

মার্কিন রক সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা এলভিস প্রিসলির বায়োপিকের শুটিংয়ে টম হ্যাঙ্কস অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। সঙ্গে আসেন তাঁর স্ত্রী রিটা উইলসন। অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখে এই দম্পতি সিডনি অপেরা হাউসে যান। সেই সময় যাঁরা এই দম্পতির সঙ্গে ছবি তুলেছেন বা কাছাকাছি ছিলেন, সেসব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ভক্তদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে। এক মুখপাত্র সিএনএনকে জানান, অপেরা হাউস এখন এনএসডাব্লিউ হেলথ ও কুইন্সল্যান্ড হেলথ—এই দুটো প্রতিষ্ঠানের অধীনে আছে। অপেরা হাউস জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। মানুষকে আতঙ্কিত না করে যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।