সুরে সুরে ছবি আঁকা পেছাল

প্রদর্শনীর উদ্বোধনে (বাঁ থেকে) রাজীব সামদানি, নিসার হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুস, হামিদুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, মনিরুল ইসলাম, দুর্জয় রহমান, নাদিয়া সামদানি ও মুস্তাফা খালিদ পলাশ। ছবি: সংগৃহীত
প্রদর্শনীর উদ্বোধনে (বাঁ থেকে) রাজীব সামদানি, নিসার হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুস, হামিদুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, মনিরুল ইসলাম, দুর্জয় রহমান, নাদিয়া সামদানি ও মুস্তাফা খালিদ পলাশ। ছবি: সংগৃহীত

কথা ছিল সরোদ বাজবে। সঙ্গে থাকবে সেতার ও তবলা। সেই সুরে সুরে শিল্পী আঁকবেন ছবি। প্রাচ্যকলায় আঁকা চিত্রকলার আমন্ত্রণে থাকবে গৌড়ীয় নৃত্য, ভরতনাট্যম, মণিপুরি ও ওড়িশি। করোনাভাইরাসের প্রকোপে ঢাকা গ্যালারির সেই আয়োজন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পিছিয়ে গেল। শিল্পী ও আয়োজকেরা জানালেন একটি সুবিধাজনক সময়ে আবারও তাঁরা এ আয়োজন করবেন।

গত বুধবার বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের একক প্রদর্শনী ‘প্রাণের প্রশান্তি’। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রকর মনিরুল ইসলাম। ঢাকা গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশের সভাপতিত্বে বিশেষ ছিলেন শিল্পী হামিদুজ্জামান খান, মোহাম্মদ ইউনুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন, সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি নাদিয়া সামদানি, সহপ্রতিষ্ঠাতা রাজীব সামদানি, শিল্পসংগ্রাহক দুর্জয় রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিল্পী জাহাঙ্গীর আলম।

গ্যালারিতে তিন নৃত্যশিল্পী অলকা দাস প্রান্তি, অর্থি আহমেদ ও স্নাতা শাহরিন। ছবি: সংগৃহীত
গ্যালারিতে তিন নৃত্যশিল্পী অলকা দাস প্রান্তি, অর্থি আহমেদ ও স্নাতা শাহরিন। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে আঁকেন জাহাঙ্গীর আলম। দীর্ঘদিন প্রাচ্য চিত্রকলা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ওরিয়েন্টাল পেইন্টিং স্টুডিওর ‘রেসিডেন্স আর্টিস্ট’ হিসেবে জলরংয়ের ওয়াশ পদ্ধতিতে তৈরি করেছেন নিজস্ব শৈলী। রং মিশ্রণের পরিপক্বতা তাঁর চিত্রকলার অনন্য গুণ। সুর, কবিতার ভাব-ছন্দ, নৃত্যভঙ্গির ইশারা তাঁর ছবির বিষয়বস্তু। ঋতু কেন্দ্রিক বাংলার রূপ, মেঘের ছলন কিংবা প্রেম-বিরহে বাঁধা পৌরাণিক উপাখ্যানে সমকালীন জীবনকেও ছবিতে তুলে রাখেন তিনি। শিবের তাণ্ডব ও শৃঙ্গার রস, রাধাকৃষ্ণের প্রেম-বিরহ, বৈষ্ণব ভক্তের আকুতিও তাঁর ক্যানভাসে প্রাণ পায়। এ প্রদর্শনীতে ৬২টি ছবি রয়েছে তাঁর।

জাহাঙ্গীর আলমের চিত্রকলা। ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীর আলমের চিত্রকলা। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘আপাতত পরিবেশনাটি বন্ধ করতে হলো। করোনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে যিনি মারা গেছেন, আমরা তাঁর পরিবারের সমব্যথী। পরে একটি সুসময়ে আমরা এ আয়োজন করব।’