করোনা-সচেতনতায় শিল্পীরা দিলেন ৯০০ মাস্ক
করোনাভাইরাস বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পথে নামলেন চলচ্চিত্রের শিল্পীরা। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ব্যানারে আজ শনিবার দুপুরে র্যালি করেছেন শিল্পীরা। প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি পথচারীদের মধ্যে ৯০০ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গ্লাভস বিলিয়েছেন বলে জানালেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষ ততটা সচেতন নয়। দেশের মানুষকে সচেতন করতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় র্যালি করতে নেমেছেন বলে জানালেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা মুখে মাস্ক পরে, হ্যান্ড গ্লাভস পরে র্যালিতে নেমেছি। র্যালিতে একজন আরেকজনের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য, সংকটময় এই পরিস্থিতে দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে এফডিসির প্রবেশমুখে ইলিয়াস কাঞ্চন, রুবেল, অঞ্জনা, মিশা সওদাগর, অরুণা বিশ্বাস, জায়েদ খান, আলেকজান্ডার বো, জয় চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নবীন চলচ্চিত্রকর্মী একত্র হন। এফডিসির প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন তাঁরা।
অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনও ছিলেন র্যালি এবং মাস্ক বিতরণের এ কার্যক্রমে। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পুরো পৃথিবী এখন করোনাভাইরাসের আতঙ্কে থমকে গেছে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সচেতন থাকা। করোনায় আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা প্রবাসীদের প্রথম দিকে আমরা সচেতন করতে পারিনি। এ জন্য আমরা ঝুঁকিতে পড়ে গেছি।’ ইলিয়াস কাঞ্চন পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত হাত ধোয়া থেকে শুরু করে সবকিছুতেই সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে ঘরে বসে নামাজ বা প্রার্থনা করতে হবে। নিজেকে রক্ষা করার জন্য সচেতন হলে অন্যরাও ভালো থাকবে। আমরা শুধু সচেতন থাকলেই করোনা থেকে বাঁচতে পারব।’
শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ। সবাই জনসমাগম এড়িয়ে চলছে। যতটা সম্ভব ঘর থেকে বেরও হচ্ছে না। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিল্পী সমিতির কার্যক্রম ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার। সবাই সচেতন থাকার চেষ্টা করছি। আমার স্ত্রী-সন্তানেরা নিউইয়র্কে লকডাউন অবস্থায় আছে। মন চাইলেও তাদের দেখতে যেতে পারছি না।’ খলচরিত্রের জনপ্রিয় এই অভিনয়শিল্পী বললেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার চেয়ে সচেতন হওয়াটা বেশি জরুরি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সরকার করোনা নিয়ে অনেক সিরিয়াস। সরকার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নির্দেশনা সঠিকভাবে মানলেই করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকা যাবে। তৃণমূল থেকে একেবারে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।