পঁচিশ বছরে কিছুই করতে পারলাম না: রিয়াজ

রিয়াজ
রিয়াজ
>

সিনেমায় চিত্রনায়ক রিয়াজ-এর বয়স হলো ২৫। ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ মুক্তি পায় প্রথম ছবি বাংলার নায়ক। মধ্যে বেশ কিছুদিন বিরতিতে ছিলেন। সম্প্রতি বিরতি ভেঙে সিনেমার অভিনয়েও ফিরেছেন তিনি। অপারেশন সুন্দরবন ও সিনেমায় রজতজয়ন্তী নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ মুক্তি পায় আপনার প্রথম ছবি ‘বাংলার নায়ক’। এ বছর দিনটি কি আপনার মনে ছিল?

দর্শকেরা জানানোতে মনে পড়ল। এমনিতে আমার নিজের মনে ছিল না।

জানার পর আপনার অনুভূতি কী ছিল?

প্রথমেই মনে হয়েছে, কিছুই করতে পারলাম না পঁচিশ বছরে। অনেক কিছু করার ছিল। কিছুই করা হলো না।

পঁচিশ বছরে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলবেন কোনটাকে?

আঠারো কোটি মানুষের ভালোবাসা। এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। দীর্ঘদিন ছবি করি না। তারপরও দর্শকেরা আমাকে ভুলে যান না। যত্ন করে মনে রাখেন।

২০১৬ সালে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ মুক্তি পাওয়ার পর আপনি আর ছবি করেননি। এই লম্বা বিরতির কারণ?

কৃষ্ণপক্ষর আগেও অনেক দিনের বিরতি ছিল। কৃষ্ণপক্ষ করি অনেক দিনের পর। তেমন কোনো গল্প পাইনি, যা আমাকে আকর্ষণ করতে পারে। আমার কাছে এমন কোনো পরিচালক আসেননি, যাঁর ছবি করা যায়। পরিচালকেরাই ছবির জগতের মাথা। তেমন পরিচালক পাইনি।

‘অপারেশন সুন্দরবন’–এ কাজ করছেন। সুন্দরবনে শুটিং করে এলেন। এখানে কাজ করতে রাজি হলেন কোন আকর্ষণে?

অপারেশন সুন্দরবনকে ছবি বলব কি না, জানি না। এটা একেবারেই বাস্তব গল্প। র‌্যাব যেভাবে দিনের পর দিন অমানুষিক কষ্ট করে সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় ডাকাত নির্মূলে কাজ করেছে, তারই সত্য ঘটনা অপারেশন সুন্দরবন। ছবি করছি বলে মনে হয়নি। মনে হয়েছে, সত্যি সত্যি ডাকাতের বিরুদ্ধে দেশের হয়ে লড়াই করছি। এখানে আমি র‌্যাবের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ইশতিয়াকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি।

আপনি এয়ারফোর্সে ছিলেন। ক্যাডেট কলেজে পড়ালেখা করেছেন। অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে কি?

জানি না। সাহায্য নিশ্চয়ই করেছে। কতটুকু কী করেছে, এটা দর্শক ভালো বলতে পারবেন।

ছবিতে জুনিয়র নায়কদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। সিয়াম, রোশান, তাসকিনদের মধ্যে কাজের ক্ষুধা আছে। ডেডিকেশন আছে। ওদের দুর্ভাগ্য, ওরা ভালো পরিচালক পাচ্ছে না।

পঁচিশ বছরের ক্যারিয়ারে যদি তিনজন পরিচালককে বেছে নিতে বলা হয়?

আমার প্রত্যেক পরিচালকের কথা বলব। প্রত্যেকের সমান অবদান। তাঁদের সবার জন্যই আমি ‘রিয়াজ’।

যদি তিনটি ছবির কথা বলতে বলা হয়?

তিন–চারটি ছবি বেছে নিতে চাই না। ক্যারিয়ারের সব ছবিই আমার কাছে সমান গুরুত্বের।

পঁচিশ বছরে অন্তত পঁচিশটি ভালো ছবি করতে পেরেছেন কি?

দর্শকেরা ভালো বলতে পারবেন। আমি চেষ্টা করেছি।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দেশে। বাড়ছে সতর্কতা। এ সময় আপনার অবস্থান কী?

আমার দিক থেকে যা করা সম্ভব করব। শুধু ফেসবুকে সচেতনতামূলক পোস্টে আটকে থাকব না। যদি স্বেচ্ছাশ্রম দিতে হয়, তবে দেব। প্রয়োজনে মাঠে থেকে কাজ করব।

সাক্ষাৎকার: মাহফুজুর রহমান, ঢাকা