করোনায় মাকে নিয়ে টেনশন চিত্রনায়ক নিরবের

মায়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক নিরব। ছবি-সংগৃহীত
মায়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক নিরব। ছবি-সংগৃহীত

নানা রোগে আক্রান্ত চিত্রনায়ক নিরবের মায়ের শরীরটা কয়েক বছর ধরে ভালো যাচ্ছে না। দুই বছর ধরে তাঁর কিডনি ও ডায়াবেটিসের সমস্যা। ৬ বছর আগে করা হয় বাইপাস সার্জারি। এর মধ্যে গত বছর আবার হার্টে স্ট্যান্ট পরানোও হয়। কয়েক মাস ধরে মাকে সপ্তাহে তিন দিন ধরে ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। করোনার এই সময়টায় মাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তা এই নায়কের। পাঁচ দিন ধরে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না নিরব। আগে যেখানে বোন আর দুই ভাই মিলে মাকে হাসাপাতালে নিয়ে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করানোর কাজটি করতেন, এখন তা করতে পারছেন না। ড্রাইভার দিয়ে মাকে একা হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে।

নিরব জানান, মায়ের এখন ডায়ালাইসিস করাতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আগে শুটিং থাকুক কিংবা না থাকুক, মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হতো। আমি না যেতে পারলে ভাইয়া আর আপা যেতেন। ডায়ালাইসিসের পুরোটা সময় মায়ের পাশে থাকতাম কেউ না কেউ। সপ্তাহখানেক ধরে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। আমি নিজেও বাসা থেকে বরে হতে পারছি না। বাসায় আমার দুটো ছোট মেয়ে। মাকে ড্রাইভার দিয়ে একা পাঠাতে হচ্ছে। কী যে এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছি, বলে বোঝাতে পারব না।

মায়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক নিরব। ছবি-সংগৃহীত
মায়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক নিরব। ছবি-সংগৃহীত

নিরব বলেন, ‘মাকে একা ছাড়তে ইচ্ছা করে না। কিন্তু কিছুই করার নেই। মা–ও চাইছেন না আমরা কেউ যাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বেশ কঠোর। আগে যেমন উপস্থিতি অ্যালাউ করত, এখন তা করছে না। শুধু রোগীকে যা সেবা দরকার, তারা আন্তরিকভাবে দিচ্ছে। করোনার এই সময়টায় যা নিয়ম মানা দরকার, তা মেনে চলছি।’

মায়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক নিরব, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। ছবি-সংগৃহীত
মায়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক নিরব, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। ছবি-সংগৃহীত

সামনে ঈদুল ফিতর। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এই সময়টায় তারকাদের ব্যস্ততা থাকে কয়েক গুণ বেশি। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে ঈদের কয়েকটি অনুষ্ঠানের শুটিং করার কথা ছিল নিরবের। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি পণ্য প্রতিষ্ঠানের ফটোশুটেও অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে এসব নিজে থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন এই চিত্রনায়ক। ঘরে বসে মেয়েদের নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সর্বশেষ তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। সবাইকে সচেতন করতে সঠিক তথ্যগুলো নিজের ফেসবুকের মাধ্যমে শেয়ারও করছেন।