ঘরে বসে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ সিনেমাগুলো দেখতে পারেন

ঘরে বসে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক এ সিনেমাগুলো দেখতে পারেন
ঘরে বসে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক এ সিনেমাগুলো দেখতে পারেন

২৫ মার্চের কালরাতের পর ফাঁকা হতে শুরু করে ঢাকা। কিছু পরিবার যুদ্ধের বিভীষিকা দেখে অবরুদ্ধ শহরে বসে। সে রকমই একটি পরিবার আবুল হায়াতের। স্ত্রী ডলি জহুর, মেয়ে বিপাশা ও শিলা, গৃহকর্মী পুতুলকে নিয়ে তাঁর মধ্যবিত্ত জীবন। গেরিলাযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর বাসায় এসে উঠলে সে জীবনে ঢেউ ওঠে। একাত্তরের গৃহবন্দী একটি পরিবারের নিপুণ চেহারা সেলুলয়েডে ফুটিয়ে তুলেছেন হুমায়ূন আহমেদ। গতানুগতিক যুদ্ধের ছবি থেকে আলাদা হওয়ায় ১৯৯৪ সালের ‘আগুনের পরশমণি’ ছবিটি এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়।

করোনায় ঘরে থাকার নির্দেশনা রয়েছে সবার প্রতি। ঘরে বসে সময় কাটানোর মোক্ষম উপায় হতে পারে সিনেমা দেখা। আজ স্বাধীনতা দিবস। মার্চের শেষ দিনগুলোতে আমরা দেখে নিতে পারি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত আমাদের প্রিয় ছবিগুলো। নাসির উদ্দীন ইউসুফের ছবি ‘গেরিলা’ আপনার তালিকায় আছে তো? যুদ্ধ শুরু হলে ঢাকা হয়ে পড়ে অগ্নিগর্ভ। তখন এক সাধারণ ঘরনি জয়া আহসান হয়ে যান গেরিলাযুদ্ধের সহযোগী। ঢাকায় অপারেশন শেষে চলে যান গ্রামে। যুদ্ধটা সেখানেও পৌঁছে যায় বিলকিসরূপী জয়ার।

নাসির উদ্দীন ইউসুফের ছবি গেরিলা ছবিতে জয়া আহসান ও ফেরদৌস।ছবি: সংগৃহীত
নাসির উদ্দীন ইউসুফের ছবি গেরিলা ছবিতে জয়া আহসান ও ফেরদৌস।ছবি: সংগৃহীত

চাষী নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের ছবি নির্মাণ করেছেন সবচেয়ে বেশি। তাঁর শেষের দিকের ছবির মধ্যে ‘মেঘের পরে মেঘ’–এ পাবেন রিয়াজের নান্দনিক অভিনয়। ভালো লাগবে পূর্ণিমাকেও। ‘ধ্রুবতারা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘সংগ্রাম’ দেখতে পারেন। আর ওরা ১১ জন বাংলাদেশে যুদ্ধের প্রথম ছবি। একঝাঁক শিল্পীর অভিনয়ে সমৃদ্ধ ছবিটি তাড়াহুড়োয় তৈরি হলেও সময়কে ধারণ করে আছে।

১৯৯৪ সালের আগুনের পরশমণি ছবিটি এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়
১৯৯৪ সালের আগুনের পরশমণি ছবিটি এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়

যুদ্ধের বীভৎসতা খুঁজে পাবেন না আলমগীর কবিরের ‘ধীরে বহে মেঘনা’য়। এ ছবি আপনার হৃদয়ে বয়ে যাবে নদীর স্রোতের মতো। যুদ্ধের সঙ্গে নদীর কি কোনো সম্পর্ক আছে? প্রশ্নটা নিজেকেই করতে পারেন তানভীর মোকাম্মেলের ‘নদীর নাম মধুমতী’ দেখার পর। নদীকে চরিত্র হিসেবে পাবেন তৌকীর আহমেদের ‘জয়যাত্রা’ ছবিতেও।

‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

রক্তপাত ও গোলাগুলির মতো দৃশ্য দেখানো হয়েছে জয় বাংলা, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, বাঘা বাঙালি, কলমীলতা ছবিগুলোতে। এগুলো সত্তর থেকে আশির দশকের ছবি। একই সময়ে নির্মিত ‘আলোর মিছিল’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘মেঘের অনেক রং’ ছবিতে যুদ্ধ সরাসরি আসেনি, তবে দেখতে পারেন। উল্লেখিত ছবিগুলোর বাইরে দেখতে পারেন মোর্শেদুল ইসলামের ‘খেলাঘর’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, ‘অনিল বাগচীর একদিন’। এ ছাড়া ‘মেঘমল্লার’ ছবিটিও আপনার তালিকায় থাকতে পারে। আর জীবন থেকে নেয়া ছবিটি অবশ্যই দেখবেন।