নাতনির সঙ্গে দূর থেকে শুভেচ্ছাবিনিময়

মায়ের কোল থেকে দাদা-দাদির সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করছে নেহা। ছবি: সংগৃহীত
মায়ের কোল থেকে দাদা-দাদির সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করছে নেহা। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেতা ইরেশ যাকের এখন মা-বাবার প্রতিবেশী। কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা আলি যাকের ও মা সারা যাকেরের সঙ্গে কদিন আগেও তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ইরেশ তাঁর ৭ মাসের মেয়ে নেহাকে নিয়ে যে কোন সময় ছুটতেন দাদা-দাদির কাছে। পাশাপাশি বারান্দা থেকে যোগাযোগ হতো। করোনার এই দিনে এখন আর সে অবস্থা নেই। সতর্কতার কারণে দাদা-দাদি ও নাতনীর মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে তাঁদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবিনিময় থামাতে পারেনি করোনাভাইরাস।

ইরেশ জানান, করোনার এই পরিস্থিতিতে তিনি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত মেয়ে নেহা রশিদ যাকের ও বাবাকে নিয়ে। বাবা অসুস্থ, মেয়ে ছোট। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি এই ভাইরাস শিশু ও বয়স্কদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির। যে কারণে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা খুব সাবধানে আছি। খুব প্রয়োজন না হলে বের হচ্ছি না। বাবা এবং মেয়ে দুজনের জন্যই সতর্ক থাকতে হচ্ছে। বাবা-মায়ের এখন নাতনীকে দেখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। যখনই তাঁরা নেহাকে দেখতে চান, তখনই আমরা ভিডিও কলে কথা বলি। সতর্কতার জন্য বারান্দাতেও আসতে বলি না। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবিনিময়ের জন্য অল্প সময়ের জন্য বাচ্চাকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন মা-বাবা পাশের বারান্দা থেকে বাচ্চাকে দেখেন এবং পতাকা নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।’

ইরেশ যাকের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে পাশাপাশি বারান্দা থেকে বাংলাদেশের পতাকা হাতে মা-বাবার সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করতে দেখা যায়। এক পাশের বারান্দায় ইরেশ যাকেরের স্ত্রী মিম রশিদের কোলে বাংলাদেশের পতাকা হাতে ছোট নেহা। উল্টো পাশের বারান্দায় সারা যাকের ও একটি চেয়ারে বসে আলী যাকের। পোস্টে ইরেশ লেখেন, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে। সাবধানে থাকি, সুস্থ থাকি সবাই। এই কামনা।’

দাদা আলি যাকেরের কোলে নেহা। ছবি: সংগৃহীত
দাদা আলি যাকেরের কোলে নেহা। ছবি: সংগৃহীত

সতর্কতা প্রসঙ্গে ইরেশ বলেন, ‘বাইরে খুব বেশি বের হচ্ছি না। যখনই প্রয়োজনীয় কোন কাজে বাইরে যাচ্ছি, খুব সতর্কতার সঙ্গে বাড়িতে এসে আলাদা রুমে জামা কাপড় রেখে গোসল শেষে স্যানিটাইজ করে তারপর মেয়ের কাছে যাই। আর একান্তই যখন বাবার বাসায় যেতে হয়, তখনো সাবধানতা অবলম্বন করি। কারণ বলা তো যায় না, কখন কী হয়। আমি নিজেই জানি না আমি নিরাপদ কি না। আমাদের এই ভাইরাস হয়তো মারাত্মক কিছু করতে পারবে না, কিন্তু বাবা এবং বাচ্চার জন্য মানসিকভাবে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।’

মেয়ে নেহার সঙ্গে ইরেশ যাকের। ছবি: সংগৃহীত
মেয়ে নেহার সঙ্গে ইরেশ যাকের। ছবি: সংগৃহীত

এই মুহূর্তে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে, উল্লেখ করে ইরেশ যাকের বলেন, ‘অন্য কোন কারণে যদি শরীর খারাপ হয় বা একটা সমস্যা দেখা দেয়, তখন হাসপাতালেও নিয়ে যেতে পারব না। কারণ বাইরে সবাই একই রকম সতর্ক না। খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন যাচ্ছে।’

ইরেশ মনে করেন এমন পরিস্থিতিতে সবার উচিত সতর্ক থাকা এবং সবার পাশে দাঁড়ানো। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার উচিত সবার পাশে দাঁড়ানো। এই মুহূর্তে সবার কাছে চাওয়া, নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাই সতর্ক থাকবেন।’