'ভেবেছিলাম আমার নিশ্চিত করোনা হয়ে গেছে'

তাসনুভা তিশা । ছবি সংগৃহীত
তাসনুভা তিশা । ছবি সংগৃহীত
>করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে নাটক ‘শুধু তোমার জন্য’। নাটকটি আজ এটিএন বাংলায় প্রচার হবে। নাটকে অভিনয় করেছেন তাসনুভা তিশা। বর্তমানে তাঁর আরও দুটি ধারাবাহিক নাটক মাছরাঙা এবং চ্যানেল আইতে প্রচার হচ্ছে। এই মাসেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি ‘চল যাই’ । করোনা পরিস্থিতি কমলেই বাড়বে কাজের ব্যস্ততা। বাসায় কোয়ারেন্টিনে থেকেই মুঠোফোনে কথা হলো তাসনোভা তিশার সঙ্গে।

করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে আজ আপনার অভিনীত নাটক প্রচার হচ্ছে?
এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুবাইলের বিলবিলাই নাটকটিতে অভিনয় করেছিলাম। গল্পটা করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে। শুটিংয়ের সময়ও আমাদের দেশে করোনার প্রভাব সেভাবে পড়েনি।

করোনা নিয়ে কী ধরনের সতর্কতায় আছেন?
গল্পটা করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে কিন্তু সেভাবে গল্পে খুব একটা সতর্কতা বা সচেতনতার কথা বলা হয়নি। এই ধরনের দৃশ্য আমি করিনি। তা ছাড়া, তখনো আমাদের দেশে করোনার প্রভাব সেভাবে পড়েনি। গল্পে আমার সহশিল্পী শ্যামল মওলা। দেখা যাবে শ্যামলের সঙ্গে আমার প্রেম প্রেম ভাব। সে একসময় ভাগ্য পরিবর্তনে চীনে যায়। পরে খবর আসে সে করোনায় আক্রান্ত। এভাবেই নাটকের গল্প এগিয়ে যায়।

তাসনুভা তিশা । ছবি সংগৃহীত
তাসনুভা তিশা । ছবি সংগৃহীত

করোনা নিয়ে বাসায় কী ধরনের সতর্কতার মধ্যে আছেন?

বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। সবাই যা করছে সেগুলোই করছি। কিছুদিন আমার খুব ঠান্ডা লেগেছিল। এখনো বাসার সবার মোটামুটি ঠান্ডা লেগেই আছে। এটা নিয়ে চিন্তায় আছি। বেশ ভয়ের মধ্যে ছিলাম। এখন সবাই ভালো আছি। তবে কয়দিন আগে আমি ট্রমায় চলে গিয়েছিলাম। আমার যখন ঠান্ডা লাগল, তখন আমার এতটাই ভয় লাগল, মনে হলো আমি এবার গেছি। ভেবেছিলাম আমার নিশ্চিত করোনা হয়ে গেছে। তারপর থেকেই প্রচণ্ড ভয়ে কয়দিন বাসায় এক পাশে জড়সড় হয়ে বসে ছিলাম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করোনা নিয়ে আপনার কোনো পোস্ট দেখা গেল না?
এখন সবাই এত সচেতন, সবাই এত অ্যাকটিভিটি করছে, লাইভ, ভিডিও করছে, সবই দেখছি। আমি আলাদা কোনো পোস্ট দিইনি। আমি আসলে কী ইনপুট দেব, জানি না। আমি নিজেই করোনা নিয়ে আতঙ্কিত ছিলাম, খুবই ভয় পাচ্ছিলাম। এখনো অনেকটা ভয়েই আছি।

শুধু তোমার জন্য নাটকের দৃশ্যে তাসনুভা তিশা । ছবি সংগৃহীত
শুধু তোমার জন্য নাটকের দৃশ্যে তাসনুভা তিশা । ছবি সংগৃহীত

আপনার প্রথম ছবি মুক্তি পেল, কেমন সাড়া পেলেন?
( হাসি দিয়ে) আমি ছবিটি নিয়ে কাউকে কিছু বলিনি। যেহেতু এটা কোনো বাণিজ্যিক ছবি না। সে রকম সাড়া আশা করিনি। তবে আমি কাজটি নিয়ে খুবই খুশি। সবাই যত্ন নিয়ে কাজটি করেছেন। তবে ওই মুহূর্তে আমি সিনেমার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ছবির মহরতেও আসতে পারিনি। করোনার কারণে নিজের ছবিটিও হলে গিয়ে দেখতে পারলাম না।

আপনার সন্তান তো ছোট...
ওকে নিয়েও চিন্তার মধ্যে আছি। ওর বয়স মাত্র চার বছর। শিশুদের জন্য এই ভাইরাস মারাত্মক। আশপাশের দেশ যখন সতর্ক, তখনি ওর স্কুল বন্ধ করে দিয়েছি। এখন পুরো হোম কোয়ারেন্টিনে আছে। ঠান্ডা কাশি যেন না লাগে সে জন্য খুব সাবধানে আছি। বাচ্চার বাসার বাইরে যাওয়া নিষেধ। আমাদের সাধ্যের মধ্যে যেটুকু আছে চেষ্টা করছি যেন ঠান্ডা জ্বর না আসে।

তাসনুভা তিশা। ছবি সংগৃহীত
তাসনুভা তিশা। ছবি সংগৃহীত

একজন নির্মাতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন আপনি কাজ ফাঁসিয়েছেন?

হ্যাঁ শুনেছি। এটা অনেক দিন আগের একটা ঘটনা। আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে আমি দেখেছিলাম। দেখেই কষ্ট পেয়েছিলাম। সেই শুটিংয়ের দিন সন্ধ্যায় দুই–তিনটা দৃশ্য করার পর আমাকে জানানো হয় আপনার একটি লম্বা ছুটি। তখন আমি বাসায় চলে আসি। আসার আগে বারবার বলি, আমাকে যেন এক ঘণ্টা আগে জানানো হয়। এসে আমি বেশ কবার ফোন দিয়েছি। সহকারী পরিচালক জানিয়েছেন, ‘আপা জানাচ্ছি।’ লাস্ট পৌনে ১১টার দিকে আমি লাস্ট ফোন দিই। তখনো কোনো সাড়া নেই। যখন তাঁরা ফোন দিয়েছে তখন রাত একটার ওপরে বাজে। তখন আমি ঘুমিয়ে গেছি। সকালে দেখি পাঁচটা ফোন। কেউই কোনো টেক্স দেয়নি। যদি প্রয়োজন হতো তাহলে তারা আমার বাসায় চলে আসত। তারা আমার বাসা চেনে। তাদের আমি কতবার ফোন দিয়েছি, সেগুলো স্ক্রিন শর্টে রেখে দিয়েছিলাম। দুদিন পর নির্মাতা আমাকে নিয়ে পরপর স্ট্যাটাস দেন। তখন কষ্ট পেয়েছি।