কী করতে পারি আমরা

রামেন্দু মজুমদার।  ছবি: প্রথম আলো
রামেন্দু মজুমদার। ছবি: প্রথম আলো

এমন অবরুদ্ধ অবস্থায় পড়িনি কখনো। কেবল আমরা কেন, সারা বিশ্বই আজ থেমে গেছে। সবাই স্বেচ্ছা–অবরোধ মেনে নিয়েছেন। প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার আর কোনো পথ জানা নেই।

বাংলাদেশে সবচেয়ে সংকটে আছে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ। রোজগারের পথ বন্ধ। ঘরে খাবার প্রায় নেই। অতীতে সব দুর্যোগে, সংকটে আমাদের সংস্কৃতিকর্মীরা এগিয়ে এসে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আসুন, এবারও তাই করি।

আমাদের প্রধান কাজ হবে এসব দরিদ্র মানুষের অন্নসংস্থানে কিছুটা সাহায্য করা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সহায়তার কাজ শুরু করেছে। আমরা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট থেকেও চাল, ডাল, আলু, সাবান প্যাকেট করে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী বিতরণের ব্যবস্থা করছি। এ কাজে আমাদের অর্থের অভাব হবে না। আমাদের পরিচিত অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, সমাজে অনেকেই আছেন, যাঁরা এ কাজে সহায়তা করতে চান। তাঁরা দয়া করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের সবার জন্যই এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর কিছু হতে পারে না।

বাড়িতে থাকার ফলে আমাদের আচরণগত অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। অভ্যাস বদল হয়েছে। করোনা–আতঙ্ক দূর হলেও যেন আমরা ভালো অভ্যাসগুলো ধরে রাখি। মানুষের প্রতি, ধরিত্রীর প্রতি যেন আরও মানবিক আচরণ করি। করোনা আমাদের এই শিক্ষা দিচ্ছে।
আরেকটি কথা। আমার ক্ষুদ্র বিবেচনায় মনে হয়, বর্তমান সঙ্গনিরোধ ও ঘরে থাকার অবস্থা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো উচিত। আমাদের অনেক অসুবিধা হবে জানি, কিন্তু এ কষ্টটা মেনে নিলে আমাদের আগামী দিনগুলো নিরাপদ হবে।
রামেন্দু মজুমদার: নাট্যব্যক্তিত্ব