মারা গেলেন সালমানের ভাতিজা

সালমান খান ও তাঁর ভাতিজা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সালমান খান ও তাঁর ভাতিজা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

করোনাভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের মতো সংকটে ভারতও। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার এই দাপটে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বলিউড তারকারাও আতঙ্কিত। এমন পরিস্থিতির ভেতর মারা গেলেন বলিউড তারকা সালমান খানের ভাতিজা আবদুল্লাহ খান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৮ বছর।

বেশ কিছুদিন আগে ফুসফুসে সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রথমে মুম্বাইয়ের ধিরুভাই আম্বানী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আবদুল্লাহ খান। সে সময় সালমান খান ছিলেন মুম্বাইয়ের পানভেলের খামারবাড়িতে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। ভাতিজাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেন। সেখানে নেওয়া হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি আবদুল্লাহর। বরং শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায়। গতকাল সোমবার গভীর রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে মারা যাওয়ায় শুরুতে সবাই ধারণা করেছিলেন সালমানের ভাতিজা করোনায় মারা গেছেন। কেননা তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। যদিও সালমানের পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন আবদুল্লাহ। এমনকি এই তরুণের ছিল ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বেশ কয়েক দিন রোগশয্যায় কাটিয়ে অবশেষে মৃত্যুবরণ করলেন তিনি।

ভাতিজার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত সালমান। চেষ্টা করেও যাকে বাঁচাতে পারেননি, তাঁর শোকে ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘সব সময় তোমাকে ভালোবেসে যাব।’ সঙ্গে দিয়েছেন আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর একটি পুরোনো ছবি। সালমানের এই শোকে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বলিউডের অন্য তারকারা।

বাপ-চাচাদের মতো শরীরচর্চা করতেন আবদুল্লাহ খান। চাচা সালমান খানের ‘বিয়িং হিউম্যান’ সংস্থাটির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি