লকডাউনে মায়ের সঙ্গে চাষাবাদ করছেন ভূমি

নিজের বাগানে ভূমি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
নিজের বাগানে ভূমি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

লকডাউনে হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন ভেঙে হয়েছে খানখান। এদিকে বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেড়নেকরের দীর্ঘদিনের এক স্বপ্ন পূরণ হলো এই সময়ে।

করোনার সংক্রমণ রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছেন। তাই সবাই এখন গৃহবন্দী। আর এই লকডাউন পর্যায় সব বলিউড তারকা নানাভাবে উপভোগ করছেন। অনেকে আবার নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা আবিষ্কার করছেন। এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই ৩০ বছর বয়সী ভূমি পেড়নেকর। তিনি এই লকডাউনের সময় নিজের স্বপ্নের এক বাগান গড়ে তুলছেন। আর সে জন্য এই বলিউড অভিনেত্রী চাষবাসের কাজও শিখে ফেলেছেন। আর এ ব্যাপারে ভূমির সঙ্গী ছিলেন মা সুমিত্রা পেড়নেকর।

ভূমির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এক স্বপ্নের বাগান গড়ার। এই স্বপ্ন তাঁর মা সুমিত্রাও দেখেছিলেন। লকডাউনের সময় মা-মেয়ের সেই স্বপ্ন এবার পূরণ হলো। তবে এই বাগান কোনো সাধারণ বাগান নয়। মাটি এবং কোনো রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া তিনি এই বাগান গড়ে তুলেছেন। এর জন্য ভূমিকে হাইড্রোপোনিকস পদ্ধতিতে চাষাবাদ শিখতে হয়েছে। মনপ্রাণ দিয়ে তিনি এবং তাঁর মা একটুকরা সবুজের জন্ম দিয়েছেন। ভূমি এ ব্যাপারে তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।

মা সুমিত্রা পেড়নেকর সঙ্গে করোনাকালে ঘরবন্দী ভূমি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মা সুমিত্রা পেড়নেকর সঙ্গে করোনাকালে ঘরবন্দী ভূমি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বলিউড অভিনেত্রী ভূমি বলেছেন, ‘আমি ও আমার মা সব সময় হাইড্রোপোনিকস বাগানের স্বপ্ন দেখে এসেছিলাম। আমরা এখানে নিজের পছন্দের সবজি চাষ করে তাজা সবজি খাওয়ার মজা নিতে চেয়েছিলাম। আজ আমাদের এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই আমরা খুব খুশি।’ ভূমি আরও বলেছেন, ‘কোয়ারেন্টিনের সময় আমি হাইড্রোপোনিকস বিজ্ঞান সম্পর্কে জেনেছি। এ নিয়ে পড়াশোনা করেছি। আর উপলব্ধি করেছি পরিবেশকে সুরক্ষিত করা কতটা জরুরি। আমি ও আমার মা এর ওপর সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। আমি গর্বিত যে আমাদের এই বাগান সপ্তাহে দুই দিনের খাবারের রসদের জোগান দিতে পারে।’

‘ডলি কিট্টি ঔর ও চমকাতে সিতারে’ সিনেমার পোস্টারে কঙ্কনা সেন শর্মা ও ভূমি।
‘ডলি কিট্টি ঔর ও চমকাতে সিতারে’ সিনেমার পোস্টারে কঙ্কনা সেন শর্মা ও ভূমি।

সম্প্রতি ‘ষান্ড কি লাখ’ সিনেমায় অভিনয় করে ফিল্মফেয়ারজয়ী ভূমি বলেছেন, ‘লকডাউনের পর্যায়ে আমি প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করেছি। আর আমি প্রকৃতির সংরক্ষণের জন্য নিজের সেরাটুকু উজাড় করে দিতে পারি।’

শাকসবজি ফলনের জন্য হাইড্রোপোনিকস পদ্ধতির সাহায্য নেওয়ার পেছনে নানান কারণ আছে। মাটি ছাড়াই এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়। আর এর ফলে মৃত্তিকাদূষণের হাত থেকে প্রকৃতিকে রক্ষা করা যায়। আর রাসায়নিক সারের ব্যবহার প্রায় হয় না বললেই চলে। এই ধরনের চাষাবাদের জন্য পুষ্টি, একটু জল ও সূর্যরশ্মির প্রয়োজন হয়।

ভূমি পেড়নেকর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ভূমি পেড়নেকর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ভূমির হাতে এখন দুটো ছবি আছে। লকডাউন উঠে গেলে তিনি ‘ডলি কিট্টি ঔর ও চমকাতে সিতারে’ ও ‘দুর্গাবতী’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।