না, জ্যাকুলিন হারিয়ে যাননি

‘গেন্দা ফুল’ গানের ভিডিওতে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
‘গেন্দা ফুল’ গানের ভিডিওতে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

গ্ল্যামার দুনিয়ার অমোঘ হাতছানিতে অনেকেই ছুটে আসেন। চাকচিক্যে ভরা জীবনের জন্য অনেকে এই দুনিয়ায় পা রাখেন। হাজার হাজার তরুণ-তরুণী বিটাউনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু খুব কমসংখ্যক মানুষের স্বপ্ন সত্যি হয়। আর তখনই তাঁদের ঘিরে ধরে মানসিক অবসাদ। অনেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যান এই ‘রেস’ থেকে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এ রকম এক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলিউড তারকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। কিন্তু তিনি হারিয়ে যাননি। বলিউডে নিজের শক্ত অবস্থান অনেকটাই পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন তিনি।

এই বলিউড অভিনয়শিল্পী সম্প্রতি মুখ খুললেন নিজের জীবনের মন খারাপের অধ্যায় নিয়ে। জ্যাকুলিন জানান, একসময় তাঁকে মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরেছিল। খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে তিনি সেই দিনগুলো কাটিয়েছিলেন। সেই সময় থেরাপিস্টের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। জ্যাকুলিন এই হতাশার কারণ চাপিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ঘাড়ে।

থেরাপিস্টের কাছে সব কথা খুলে বলতেন জ্যাকুলিন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
থেরাপিস্টের কাছে সব কথা খুলে বলতেন জ্যাকুলিন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

জ্যাকুলিন জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য অনেককে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। মানসিক অবসাদ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি আমার থেরাপিস্টের কাছে সব কথা খুলে বলতাম। দীর্ঘ সময় আমি একা কাটিয়েছি। আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। আর তখনই আমি শিখে গিয়েছি যে, সব বিরূপ পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। আজ সবাই আমার সঙ্গে আছে। আমি এখন অনেক ভালো আছি।’

অন্যভাবে সবার পাশে দাঁড়াচ্ছেন জ্যাকুলিন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
অন্যভাবে সবার পাশে দাঁড়াচ্ছেন জ্যাকুলিন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

করোনার তাণ্ডবের সময় জ্যাকুলিন অন্যভাবে সবার পাশে দাঁড়াচ্ছেন। করোনাকে ঘিরে নানান গুজব আটকানোর চেষ্টা করছেন তিনি। করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলছেন। জ্যাকুলিন লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে সুরাতের প্রথম করোনায় আক্রান্ত নারী রীতার সঙ্গে কথা বলেছেন।

বলিউড র‍্যাপার বাদশার সঙ্গে সম্প্রতি ‘গেন্দা ফুল’ নামে একটি গানের ভিডিওতে দেখা গেছে জ্যাকুলিনকে। বিপুল পরিমাণ দর্শকের কাছে অন্য রকম এক জ্যাকুলিনকে পৌঁছে দিয়েছে গানটি।