এগারো শত পরিবারকে পপির উপহার
করোনা সংকটের এই সময়ে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন জন্মশহর খুলনার অসহায় মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন নায়িকা পপি। অসহায় মানুষের পাশে থাকার মানসিকতা নিয়ে কাজটি করেছেন তিনি। যদিও একে ত্রাণ নয়, পপি বলছেন নববর্ষের উপহার। গতকাল বুধবার রাতে প্রথম আলোকে তেমনটাই জানালেন তিনি।
গত এক মাস ধরে খুলনায় আছেন পপি। বাবা-মা ও ভাইবোনদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বাইরের জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে ঢাকায় ফিরতে পারেননি তাঁরা। খালিশপুরের মেয়ে পপি নিজেকে ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারেননি। আশপাশের অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট আঁচ করতে পেরে নিজের সামর্থ্য মতো যতটা সম্ভব তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পপি। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সকালে খুলনার শিববাড়ি মোড় ইব্রাহিম মিয়া রোড, হাছানবাদ, খালিশপুর, বিএল কলেজ এলাকা, বৈকালীতে নিজে উপস্থিত থেকে সবার হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। দেশের এই ভয়াবহ সংকটে এভাবে কিছু মানুষের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন পপি।
পপি জানান, ১ হাজার এক শ অসচ্ছল মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, সাবানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিয়েছেন তারা। প্রথম আলোকে পপি বলেন, ‘সবার ভালোবাসায় আমি আজকের পপি। আমাদের দেশের মানুষ এখন একটা বিরাট সংকটময় সময় পার করছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। এই সময়টায় তাঁরা কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না। এটা আমাকে খুব স্পর্শ করেছে। আমি যেহেতু এখন এলাকায় আছি, সামর্থ অনুযায়ী যতটা সম্ভব এসব অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। একে আমি ভালোবাসার প্রতিদানও বলতে চাই।’ পপি আরও বলেন, ‘যে চলচ্চিত্রের কারণে আজ আমি নায়িকা, সেই চলচ্চিত্রাঙ্গনের সহকারী শিল্পী ও কলাকুশলীরা একটা সমস্যার মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। তাঁদের অনেকের দুঃখ-কষ্টের খবর শুনছি। তাদের জন্যও আমার কিছু একটা করার ইচ্ছে আছে।
আগেও ৫শ পরিবারকে খাবারের সঙ্গে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছিলেন পপি। তিনি বললেন, ‘টেলিভিশনের খবরে দেখছি, ফেসবুকে ঢুকলেই দেখছি সারা দুনিয়ায় কীভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। পৃথিবীজুড়ে মানুষের মৃত্যু বাড়ছে। অত্যাধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা সত্ত্বেও ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলো এই ভাইরাসকে রুখে দিতে পারছে না। আমাদের এখানে যে চিকিৎসাব্যবস্থা, তাতে এই মহামারি ছড়িয়ে পড়লে থামানোর কোনো সুযোগ নেই। এই ভাইরাসে কখন, কীভাবে, কে আক্রান্ত হবে, কেউ জানি না। তাই সব দিকনির্দেশনা মেনে আপাতত ঘরে অবস্থান করতে হবে।