'ঘরে বসে কবিতা লেখার চেষ্টা করছি'

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। ছবি: ফেসবুক থেকে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। ছবি: ফেসবুক থেকে

সচ্ছল শিল্পীদের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি চলচ্চিত্র অঙ্গনের অসচ্ছল শিল্পীদের সহযোগিতা করছে। এই ধারাবাহিকতায় সামনে রোজা ও ঈদের সময়ও সহযোগিতা প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে সমিতি। সংগঠনের উদ্যোগে শিল্পীদের জন্য মেডিকেল টিম গঠন করার কথা বললেন সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। এসব নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন উদ্যোগ কী?
আমরা এ পর্যন্ত ছয় শ প্যাকেটের মতো খাবার অসচ্ছল শিল্পী–কলাকুশলীদের মধ্যে দিয়েছি। বিশেষ করে যাঁরা প্রতিদিনই এফডিসিতে আসা–যাওয়া করতেন, তাঁদের এই সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আরও তিন শ প্যাকেট প্রস্তুত আছে। এখন তো লোক সমাগম করা যাবে না, তাই কোনো শিল্পী–কলাকুশলীর ঘরে খাবার নেই, সংবাদ পেলেই সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।

মিশা সওদাগর। ছবি: প্রথম আলো
মিশা সওদাগর। ছবি: প্রথম আলো

শুটিং ডাবিংসহ সিনেমার সব কাজই বন্ধ। সামনের দিনগুলোতে স্বল্প আয়ের শিল্পীদের নিয়ে আলাদা করে কিছু ভেবেছি।
সে বিষয়ও শিল্পী সমিতিতে আলাপ–আলোচনা হয়েছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সচ্ছল শিল্পীদের নিয়ে তহবিল গঠন করেছি। অনেক সচ্ছল শিল্পী এতে একমত হয়েছেন, এগিয়ে এসেছেন।

সমিতির নিজস্ব তহবিল থেকে কী করলেন?
আমরা তো আগেই বলেছি, শিল্পীদের পাশে শিল্পীরা। তবে কমিটি থেকে যে কিছু দেওয়া হয়নি, তা নয়। সামনে ঈদের সময় পাঁচ–ছয় লাখ টাকা দরকার হবে। কিছু অনুদান হয়তো পাব। বাকি টাকা কিন্তু আমাদের সমিতি তহবিল থেকেই দিতে হবে।

শুনেছি সমিতির পক্ষ থেকে শিল্পীদের জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে?
শিল্পীদের জন্য একজন এমবিবিএস চিকিৎসক সার্বক্ষণিক রাখা হয়েছে। সব শিল্পীদের কাছে ওই চিকিৎসকের ফোন নম্বর দেওয়া আছে। কেউ অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা চার–পাঁচটি হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে রেখেছি।

আপনি নিজে কত দিন ঘরে আছেন?
এক সপ্তাহের মতো হবে। আরও আগেই ঘরে ঢুকে যেতে পারতাম। কিন্তু শিল্পী সমিতির সভাপতির মতো বড় পদে দায়িত্ব থাকার কারণে আমাকে বের হতে হয়েছে। শিল্পীরা আমাকে এই পদে বসিয়েছেন। তাই এই দুর্যোগে তাঁদের পাশে আমাকে থাকতে হয়েছে, হচ্ছে।

মিশা সওদাগর। ছবি: ফেসবুক থেকে
মিশা সওদাগর। ছবি: ফেসবুক থেকে

সময় কাটছে কীভাবে?
আতঙ্কে কাটছে। আমার পুরো পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে আছে। বড় ছেলে আছে টেক্সাসে আর বউ ও ছোট ছেলে নিউইয়র্কের জ্যামাইকাতে। ওখানে করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মহাবিপর্যয় রূপ নিয়েছে। এ কারণে তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এ ছাড়া ঘরে বসে চলচ্চিত্রের সিনিয়র শিল্পীদের খোঁজখবর নিচ্ছি। তাঁদের পরামর্শ নিয়ে শিল্পীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। কারণ অনেক দিন হলো বিনোদনের সব ক্ষেত্রের কাজ বন্ধ। এভাবে চলতে থাকলে নিম্ন আয়ের শিল্পীরা বাঁচবেন কীভাবে? এসব নিয়েও কথা হচ্ছে বড়দের সঙ্গে। ফাঁকে ফাঁকে কিছু সিনেমা দেখছি। ঘরে বসে কবিতা লেখার চেষ্টা করছি।

আপনি নিয়মিত কবিতা লেখেন?
নিয়মিত লিখি না। কিন্তু কবিতা পড়তে ভালোবাসি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কবিতা লিখছি বেশি। এর মধ্যে চার-পাঁচটি লিখেছি। সবগুলো কবিতা বর্তমান সময়কে ধারণ করে, বর্তমান দুর্যোগ নিয়ে কবিতা লিখছি।