লকডাউন অমান্য করে পথে আলিয়া

আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বাবা মহেশ ভাট ও মা সোনি রাজদানকে নিয়ে উদ্বেকে দিন কাটছিল বলিউড তারকা আলিয়া ভাটের। কারণ একটাই, করোনা। কোনোভাবে এই ভাইরাস যেন তাঁর মা–বাবাকে আক্রমণ না করে, সেই চিন্তা তাঁকে কুরে কুরে খায়। তাই মা–বাবাকে দেখতে লকডাউনের অমান্য করে পায়ে হেঁটে তাঁদের কাছে চলে গেলেন আলিয়া।

লকডাউনের কারণে সবাই এখন গৃহবন্দী। বিটাউন তারকারাও এর ব্যতিক্রম নন। মা–বাবার কাছ থেকে দূরে নিজের বাসায় ছিলেন আলিয়া। অবশ্য নিন্দুকদের মতে, এই বিটাউন নায়িকা নাকি প্রেমিক রণবীর কাপুরের সঙ্গে থাকেন। যেখানেই থাকুন না কেন, মা–বাবাকে নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে নিজের এই দুশ্চিন্তার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাগাভাগি করেছিলেন তিনি। এবার মা–বাবাকে দেখতে লকডাউনের মধ্যে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন আলিয়া। সেটা জানিয়েছেন স্বয়ং তাঁর বাবা মহেশ ভাট। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের দেখা হয়েছিল। কিছুটা দূরেই সে (আলিয়া) থাকে। তার এলাকাটা খুব সুরক্ষিত।

আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তাই সে পায়ে হেঁটে, মাস্ক ও গ্লাভস পরে এখানে এসেছিল। শুধু তা–ই নয়, সে আমাদের থেকে অনেক দূরত্ব রেখে বসেছিল, যাতে তার মা–বাবার কোনো ক্ষতি না হয়।’ ‘সড়ক’ ছবির এই পরিচালক আরও বলেন যে আলিয়াকে এভাবে সামাজিক কর্তব্য পালন করতে দেখে তিনি গর্বিত। আলিয়া যে বাবার অত্যন্ত আদুরে মেয়ে, সেটা বুঝতে তো আর বাকি থাকে না। এর আগে আলিয়া তাঁর বাবাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করে বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাস ক্রমেই অত্যন্ত ভয়ংকর হয়ে উঠছে। আমার বাবার বয়স সত্তরের কাছাকাছি। এ জন্য তাঁকে নিয়ে সারাক্ষণই আমার দুশ্চিন্তা হয়।

পরিস্থিতি দেখে ঘাবড়ে যাচ্ছি। আমি তাঁকে সব সময় বলি যে তিনি যেন মুখে হাত না দেন, এটা না করেন, ওটা না করেন।’ কিছুদিন আগে বাবা মহেশ ভাটের সঙ্গে একটা পুরোনো ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন আলিয়া। সাদা-কালো সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছিল বাবার বুকে রাখা ছিল আলিয়ার মাথা। ছবিটি নিচে আলিয়া লিখেছিলেন, ‘বাড়িতে থাকুন। আর যখনই বাবার কথা মনে পড়বে, তখনই পুরোনো কোনো ছবি পোস্ট করবেন।’

আলিয়ার হাতে এখন একাধিক ছবি। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির কাজ প্রায় শেষ। এ ছাড়া ‘সড়ক টু’, ‘গংগুবাঈ কাঠিয়াওয়ারি’, ‘তখত’, ‘আরআরআর’ ছবিগুলোতে দেখা যাবে তাঁকে।