ছবির জেমস বন্ডই বাস্তবে বাঁচালেন নায়িকাকে

হ্যালি বেরি ও পিয়ার্স ব্রসনান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
হ্যালি বেরি ও পিয়ার্স ব্রসনান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০০১ সালের কথা। চলছে ডাই অ্যানাদার ডে ছবির শুটিং। বন্ডগার্ল জিনক্সের ভূমিকায় হ্যালি বেরি। তাঁর বয়স তখন ৩৪। আর বন্ডরূপী পিয়ার্স ব্রসনানের তখন ৪৭। একটা দৃশ্য ছিল এমন—জিনক্স বন্ডকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু হঠাৎ হ্যালির শ্বাসনালিতে কিছু একটা আটকে গেল। বিষম লেগে একদমই দম নিতে পারছিলেন না তিনি। এক মুহূর্তের জন্য হ্যালির মনে হয়েছিল, তিনি মারা যাচ্ছেন। সেই সময় সত্যিকারের ত্রাণকর্তা হয়ে এলেন জিরো জিরো সেভেনরূপী পিয়ার্স। তিনি মার্কিন সার্জন হেনরি হেমলিকের আবিষ্কৃত হেমলিক পদ্ধতির প্রয়োগ করেন। প্রাণঘাতী বিষম লাগা থেকে বাঁচতে এই পদ্ধতির বিকল্প নেই। হ্যালির তলপেট আর পাঁজরের খাঁচার মধ্যে প্রচণ্ড চাপ দেন। ফলে একটা ধাক্কায় শ্বাসপ্রশ্বাস আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে।

সম্প্রতি জনপ্রিয় মার্কিন উপস্থাপক জিমি ফ্যালনের শো 'দ্য টুনাইট শো স্টারিং জিমি ফ্যালন'–এ এসে হ্যালি ১৯ বছর আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, 'কথা ছিল, আমি খুবই “সেক্সি” আচরণ করব। বন্ডকে আমার শারীরিক আবেদনের মাধ্যমে পটানোর চেষ্টা করব। কিন্তু যেটা ঘটল, সেটা মোটেও সেক্সি ছিল না। আমি তো মরতে বসেছিলাম। ভাগ্যিস, পিয়ার্স হেমলিক পদ্ধতি জানতেন। তিনিই বাঁচালেন। তিনি সব সময় আমার চোখে বিশ্বের সেরা আর প্রিয় মানুষদের একজন হিসেবেই থাকবেন।'

হ্যালি বেরি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
হ্যালি বেরি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এই শেষ নয়, এ ছবির সেটে হ্যালি আহতও হয়েছেন। স্পেনে মারামারির দৃশ্য করতে গিয়ে তাঁর বাঁ চোখে চোট লেগেছিল। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাও নিতে হয়েছিল। নামের আগে 'বন্ডগার্ল' তকমা লাগানো তো আর সহজ কর্ম নয়, সে জন্য মূল্য চুকাতে হয়!

সূত্র: এসশোবিজ