তিনি ছিলেন 'ফাইন্ডিং নিমো'র স্টোরি আর্টিস্ট

‘ফাইিন্ডং নিমো’সহ জনপ্রিয় বেশ কিছু অ্যানিমেশন সিনেমার পেছনের কারিগর ছিলেন রব গিবস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
‘ফাইিন্ডং নিমো’সহ জনপ্রিয় বেশ কিছু অ্যানিমেশন সিনেমার পেছনের কারিগর ছিলেন রব গিবস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

চলচ্চিত্রজগতে একের পর এক নক্ষত্রপতন ঘটেই চলেছে দেশে-বিদেশে। পিক্সারে কাজ করা অ্যানিমেশন ছবির পরিচালক ও শিল্পী রব গিবস একেবারে অকালে চলে গেলেন। মাত্র ৫৫ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানা যায়নি। প্রায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনোদনজগতে তাঁর অবদান। পিক্সারের বহু জনপ্রিয় অ্যানিমেশন ছবির নেপথ্যে ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন ডিজনির সঙ্গেও।

মূলত স্টোরিবোর্ড শিল্পী হিসেবেই কাজ শুরু করেন রব। ‘টয় স্টোরি টু’, ‘ফাইন্ডিং নিমো’-র মতো সাড়া ফেলে দেওয়া সিনেমায় তিনি ছিলেন নেপথ্য নায়ক। বিখ্যাত এই অ্যানিমেশন ছবিগুলোর বহু চরিত্রই তাঁর তুলির আঁচড়ে প্রাণ পেয়েছিল।

রব গিবসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘মনস্টার আইএনসি’। এই ছবিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন, বহু বিচিত্র রংবেরঙের চরিত্র রয়েছে এখানে এবং তাদের বৈশিষ্ট্যগুলোও অদ্ভুত। এই ছবি হল রব গিবসের কল্পনাপ্রবণতার এক অপূর্ব নিদর্শন।

রব গিবসের কাজের কথা বললে এ নামগুলোও চলে আসে অনায়াসে। ‘টোকিও মেটার’, ‘মেটাস টল টেলস’, ‘টেলস ফ্রম র‌্যাডিয়েটর স্প্রিংস’। এ ছাড়া ‘কার ফ্রাঞ্চাইজি’, ‘ব্রেভ’, ‘মনস্টার্স ইউনিভার্সিটি’, ‘ইনক্রিডিবল-২’ ইত্যাদি সিনেমায় থাকত তাঁর জাদুর আঁচড়।

ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা রব গিবসের মেয়েও একজন অভিনেত্রী। ‘মনস্টার আইএনসি’-তে বু-এর চরিত্রে শোনা গিয়েছে তাঁর মেয়ের কণ্ঠ। ‘লুনি টিউনস’ আর ‘পপেই’-এর ভক্ত ছিলেন রব গিবস। কিন্তু কখনোই সেগুলো উচ্চকিত কোনো প্রভাব ফেলেনি তাঁর কাজে। তাঁর স্টাইল ছিল স্বতন্ত্র। না হলে ‘নিমো’ অথবা ‘মনস্টার’দের জন্ম হতো না।

পিক্সারে কাজ করার আগে গিবস ওয়াল্ট ডিজনিতেও কাজ করেছেন। ১৯৯৮ সালে যোগ দেন পিক্সারে এবং ‘টয় স্টোরি-২’ ছবিতে কাজ করেন।