লকডাউনেই থাকতেন পূর্ণিমা ও তাঁর মেয়ে

মেয়ের সঙ্গে পূর্ণিমা। ছবি: সংগৃহীত
মেয়ের সঙ্গে পূর্ণিমা। ছবি: সংগৃহীত

করোনাকাল বা লকডাউনকে আলাদা কোনো ঘটনা মনেই হচ্ছে না পূর্ণিমার। কারণ, আগে থেকেই লকডাউনে কাটাতেন তাঁরা। আগেও যেভাবে জীবন কাটাতেন, এখনো তেমন করেই কাটাচ্ছেন। পরিবার ও সন্তানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন, নিজেদের মতো করে কাটাচ্ছেন জীবন। 

মা হিসেবে লকডাউনে বাড়তি কী ভূমিকা রাখতে হয়েছে পূর্ণিমাকে? তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বাসাতেই কাটাতে পছন্দ করি। শুটিং না থাকলে বাইরে বের হতাম না। আগে বাসায় থাকতাম ট্রাফিকের ভয়ে, এখন করোনার ভয়ে।’

পূর্ণিমার মেয়ে ছয় বছরের আরশিয়া উমায়জা পড়ে কেজি ওয়ানে। সে বাংলা খবরগুলো দেখে নিজে থেকেই সচেতন হতে চেষ্টা করেছে। দেখেছে যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাকে বুঝিয়ে বলেছি যে একটা ভাইরাস এসেছে, সচেতন হয়ে থাকতে হবে। সে নিজেও বাড়িতে থেকে অভ্যস্ত। বাড়ি আর স্কুলেই তার একমাত্র যাতায়াতের জায়গা। সে এখন অনলাইনে ক্লাস করে। বাসায় পড়াশোনা করে, নিজের মতো করে খেলে।’


পূর্ণিমা অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আমিন খান ও রিয়াজ। ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে দিলারা হানিফ রীতা ওরফে পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দারুণ সাফল্য পান। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত ৮০টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।


২০১০ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান পূর্ণিমা।