বদলে যাওয়া বিনোদনের ধরণ
>করোনার প্রকোপ বদলে দিচ্ছে বিনোদনের ধরণ। অনলাইনে শিল্পীরা তো সরব আছেনই, অফলাইনেও নানা রকম ব্যতিক্রম আয়োজন হচ্ছে। মানুষের মন সতেজ রাখতে কোথাও কোথাও সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
বিলবোর্ডের জায়গায় বড় পর্দা
টানা ৮ সপ্তাহ লকডাউনে থাকার পর অবশেষে গত সোমবার থেকে একটু একটু করে প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছে স্পেন। তবে এই দীর্ঘ সময়টাতে বাসিন্দাদের চাঙ্গা রাখতে ব্যতিক্রম এক আয়োজন করেছিল স্পেনের মাদ্রিদের স্থানীয় সরকার। শহরের বিলবোর্ডগুলোর জায়গায় তারা বসিয়ে দিয়েছিল বড় বড় টিভি। সেখানে প্রচারিত হয়েছে চলচ্চিত্র, টিভি সিরিজ। বারান্দায় বসে উপভোগ করেছেন নাগরিকেরা। হাতে হয়তো পপকর্ন ছিল না। কিন্তু ছবির ফাঁকে, পাশের সিটে (পড়ুন বারান্দায়) বসা দর্শকের সঙ্গে টুকটাক গল্প করার সুযোগ তো হয়েছে! তাতেই এই দমবন্ধ সময়টাতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বাসিন্দারা। ছবি শুরু আর শেষের সময় করতালির শব্দে মুখর হয়েছে স্তব্ধ মাদ্রিদ। বিবিসি।
বারান্দায় কনসার্ট
কেউ হয়তো বারান্দায় দাঁড়িয়ে গিটার বাজাচ্ছেন। পাশের বারান্দা থেকে তাঁকে সঙ্গ দিলেন এক বেহালা বাদক। যাঁর ঘরে মাউথ অর্গান আছে, সে-ই বা বসে থাকবেন কেন। নিজ নিজ বাড়িতে বসেই একসঙ্গে গান ধরার এ রকম নানা দেশের বেশ কিছু ভিডিও চোখে পড়েছে ফেসবুকে, ইউটিউবে। এরই মধ্যে নিজেদের বাড়ির বারান্দা থেকে রীতিমতো কনসার্টও আয়োজন করে ফেলেছেন ভারতের দিল্লীর এক শিল্পী দম্পতি – রিতেশ মদন ও পায়েল মদন। ড্রামস ও বেজ গিটারে ছিল তাঁদের দুই সন্তান, আরিভ ও অদ্ভয়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যে এই কনসার্ট একটু হলেও তাঁদের একঘেয়েমী দূর করেছে। এনডিটিভি।
বিমানবন্দরের রানওয়েতে সিনেমার শো
‘ড্রাইভ-ইন সিনেমা’র ধারণাটি নতুন নয়। খোলা ময়দানে, গাড়িতে বসে ছবি দেখার প্রচলন বিশ্বের নানা দেশে আছে। দর্শকদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে ছবি দেখার ব্যতিক্রম আয়োজন একসময় ‘প্রয়োজন’ হয়ে উঠবে, কে জানত! ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার বিমানবন্দরে সম্প্রতি আয়োজন করা হয়েছে ড্রাইভ-ইন সিনেমা। লকডাউনের কারণে মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে বিমান চলাচল বন্ধ আছে। এখন লিথুনিয়ার বিমানবন্দর এলাকায় প্রায় দেড়শ গাড়িতে বসে, ৫ তলা সমান উঁচু পর্দায় চলচ্চিত্র উপভোগ করছেন চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। চলছে ভিলনিয়াস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসব চলে ১০মে পর্যন্ত। এএফপি।'
২১ দিনের বিনোদন প্যাকেজ
লকডাউনে থাকা সাউথ আফ্রিকার গৌটেং প্রদেশের বাসিন্দাদের জন্য ২১ দিনের একটি বিনোদন প্যাকেজ চালু করেছে সেখানকার স্থানীয় সরকারের ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি ও বিনোদন বিভাগ। রন্ধনশিল্পী, ব্যয়ামবিদ থেকে শুরু করে কমেডিয়ানরাও ঘরে বসে তৈরি করেছেন নানা অনুষ্ঠান। সেগুলো প্রচারিত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে; ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি ও বিনোদন বিভাগের পেজে। কর্তৃপক্ষ বলছেন, নাগরিকদের একঘেয়েমী কাটাতেই এই আয়োজন। গৃহবন্দী নাগরিকদের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সচেতনতার বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সানডে টাইমস। গ্রন্থনা: মো. সাইফুল্লাহ