আলোর গান চেয়েছে চিরকুট

চিরকুট দলের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
চিরকুট দলের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ঘরবন্দী মানুষের কাছে গান আহ্বান করেছে দেশের জনপ্রিয় গানের দল চিরকুট। জানালা, বারান্দা ও ছাদে বসে গাওয়া যেকোনো গানের ভিডিও তাঁরা প্রকাশ করছে নিজেদের ফেসবুক পেজে। করোনাভাইরাসে ঘরে আটকে থাকা মানুষকে কিছুটা প্রশান্তি দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘আলোর গান’-এর থিম সং। গেয়েছেন সুমী, তাসফি, নিবিড়, রিফাত, প্রান্ত ও মিথিলা। গানের কথা ও সুর চিরকুটের শারমিন সুলতানা সুমীর। চমৎকার কথার সেই গান প্রসঙ্গে সুমী বলেন, ‘ঘরবন্দী মানুষের আলোর উৎস জানালা, বারান্দা ও ছাদ। এ জায়গাগুলোয় দাঁড়ালে আমরা একটু প্রশান্তি পাই। মানুষের প্রশান্তি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমরা এ আয়োজন করেছি। এতে অভাবনীয় সাড়াও পাচ্ছি। বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে মিলে গান করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন, একজন অন্ধ মানুষ আলোর গান গেয়ে পাঠিয়েছেন—এসব আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।’
আলোর গানের থিম সং প্রসঙ্গে সুমী বলেন, ‘অনেক মানুষকে একত্রে অনুভব করতে পারলে এ রকম কথা ভেতর থেকে সুর হয়ে বেরিয়ে আসে। আমরা আলোর কাছে প্রার্থনা করেছি, আলো যেন আমাদের সব কষ্ট সারিয়ে দেয়, ক্ষত মুছে দেয়। এই দুঃসময়ে সবাই সবার জন্য কত কিছু করছেন, আমাদের শিল্পীদের গান গাওয়া ছাড়া তেমন কিছু করার ক্ষমতা নেই। এ কারণে গানকেই প্রশান্তির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেছি। আহ্বান করেছি অন্যরাও আমাদের সঙ্গে গান করুক, একটু শান্তি পাক।’

‘আলোর গান’ আহ্বান করেছে চিরকুট। ছবি: সংগৃহীত
‘আলোর গান’ আহ্বান করেছে চিরকুট। ছবি: সংগৃহীত

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, আলোর গান পাঠাতে হবে নাম-ঠিকানাসহ [email protected] মেইলে, ভিডিও রেকর্ড করতে হবে ছাদ, বারান্দা বা জানালার আলোয়। শুরুতে এটি কেবলই প্রশান্তি বিনিময়ের একটি লক্ষ্য। তবে অর্থনৈতিক কোনো সূত্র যোগ করা গেলে সেখান থেকে পাওয়া অর্থ করোনাদুর্গতদের জন্য ব্যয় করার ভাবনা আছে তাঁদের। সংগৃহীত গানগুলো একযোগে একে একে প্রকাশ করা হবে চিরকুট, এটুআই, গান বাংলা, প্রথম আলো ডটকম ও সল্ট ক্রিয়েটিভসের ফেসবুক পেজে।