কেমন কাটল তারকা দম্পতিদের ঈদ

মোশাররফ করিম ও রোবেনা রেজা জুঁই দম্পতি। ছবি সংগৃহীত
মোশাররফ করিম ও রোবেনা রেজা জুঁই দম্পতি। ছবি সংগৃহীত

ঈদ মানে খুশি। সেই খুশিতে পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের অবগাহন। সেসবই এবার মিলিয়ে গেছে করোনায়। বিশ্বব্যাপী চলমান এই দুর্যোগে ঈদের সেই রং নেই, নেই বাড়তি কোনো আয়োজন। বেশির ভাগ তারকাই ঘরে বসে ঈদের দিনটি কাটিয়েছেন।

অভিনেতা মোশাররফ করিম ও অভিনেত্রী রোবেনা রেজা জুঁই দম্পতির ঘরে ছিল না বাড়তি কোনো ঈদের আয়োজন। স্বাভাবিক দিনের মতোই কেটেছে ঈদের দিন। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়েই বেশি চিন্তিত ছিলেন এই তারকা দম্পতি।

অভিনেত্রী রোবেনা রেজা জুঁই বলেন, ‘অন্যদিনের মতোই কাটছে আমাদের ঈদের দিন। দেশের এ অবস্থায় আমোদ ফুর্তির তো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সবার স্বার্থে বাসায় আছি, এটাই ঈদের বড় আনন্দ। পরিবারের সবার জন্য রান্না করেছি, সবাই সুস্থ আছি, এটাই বড় শুকরিয়া।’ এবারের ঈদ সবার জন্যই ব্যতিক্রম। অভিনেতা মোশাররফ করিম বাসায়ই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। বাসায় ঘনিষ্ঠ দু-একজন আত্মীয় আসছে, তাদের সঙ্গেই করোনা পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলে সময় কাটছে বলে জানান অভিনেতা মোশাররফ করিম। তিনি বলেন, ‘পরিবারের কিছু কাছের আত্মীয়স্বজন আসছে, তাদের সঙ্গে কথা বলছি। প্রতিবার চাঁদরাতে শুটিং থাকে, সে জন্য ঈদের দিন ঘুমে কাটে। সেটাই বড় বিনোদন থাকে। এবার বাড়িতেই ঈদের পুরো সময়টা কেটেছে। বাড়িতে প্রথমবারের মতো বন্দী অবস্থায় ঈদ কাটাচ্ছি।’

এফ এস নাইম ও নাদিয়া আহমেদ দম্পতি। ছবি সংগৃহীত
এফ এস নাইম ও নাদিয়া আহমেদ দম্পতি। ছবি সংগৃহীত

অভিনেতা এফ এস নাইম ও নাদিয়া আহমেদ দম্পতির এবারের ঈদটা ছিল বাসা থেকে ছাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। পরিবারের সঙ্গে গালগল্প করেই কেটেছে তাঁদের ঈদটা। অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ অভিনীত প্রতি ঈদে গড়ে ৩০টির বেশি নাটক প্রচার হয়। ঈদের আগে চাঁদরাত পর্যন্ত শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন। সেখানে দুই মাস ধরে করোনার কারণে কোনো কাজ না থাকায় এবার ঈদে মাত্র ৬/৭টি নাটক প্রচার হচ্ছে। 

এই অভিনেত্রী এবারের ঈদ নিয়ে বলেন, ‘ঈদটা সবার জন্য অন্য রকম। এমন ঈদ আমরা কখনোই দেখিনি। বাড়ির মানুষ ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করিনি। ঈদের যে মজাটা থাকে সালামি দেওয়া-নেওয়ার, এবারের ঈদে সালামি দেওয়া-নেওয়াটাও হয়নি। সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না করা হয়েছে। আমার ছোট বোন আমেরিকায় থাকে। করোনার লকডাউনে সে ১১ বছর পর এবার আমাদের সঙ্গে ঈদ করছে। আমার স্বামী (অভিনেতা নাইম আহমেদ), আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, পরিবারের সবাই মিলে গল্প, টিভি দেখা, ছাদে গিয়ে প্রকৃতি দেখা—এসবের মধ্য দিয়েই ঈদটা কেটে গেছে। ঘরবন্দী থেকেছি।’

অভিনেতা এফ এস নাইম বলেন, ‘আগে সব সময় ভোরের প্রথম জামাতে নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত করতাম। নানির বাসায় যেতাম, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতাম। এবার কোনোটাই করা হয়নি। সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। সবার নিরাপত্তার জন্য বাসায়ই নামাজ পড়েছি। সকালে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখছি আর ভাবছি, এবারের ঈদটা কেমন? তবে আল্লাহ সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন, এটাই সবচেয়ে ভালো ঈদ। পরিবারের সবার সঙ্গে সকালের নাশতা করেছি। বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছি। এখন কিছুটা ঈদের ফিল পাচ্ছি।’