ঈদে পাঁচ হাজার পরিবারে খাবার দিলেন সালমান

সালমান খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সালমান খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম


সালমান খান পৃথিবীর যে প্রান্তে, যে অবস্থায়ই থাকেন না কেন, ঈদুল ফিতরের আগে তাঁর বাড়িতে বাবা–মায়ের কাছে ফেরা চাই-ই চাই। এই করোনাকালে লকডাউনেও তার ব্যতিক্রম হলো না। পানভেলের ফার্মহাউস থেকে সোজা বাড়িতে ফিরে এলেন ঈদের তিন দিন আগে।


নিজের ফার্মহাউসে ‘তেরে বিনা’ ও ‘ভাই ভাই’ নামে দুটো গানের শুটিং করেছিলেন সালমান। ঈদ উপলক্ষে বেশ কয়েক বছর পর এবারই সালমান খানের কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি বটে, তবে মুক্তি পেয়েছে এই দুটো গান। ঈদের আগে মুক্তি পায় ‘তেরে বিনা’ আর ঈদের দিন সকালে মুক্তি পেল ‘হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই’ গানটি। দুই সপ্তাহে সালমানের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘তেরে বিনা’ গানটি দেখা হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখবার। আর মাত্র দুই দিনে ‘ভাই ভাই’ দেখেছেন ১ কোটি ৮০ লাখ দর্শক।


বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বড় হৃদয়ের কথা কারও অজানা নেই। অসহায় ও দুস্থ মানুষের দিকে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। এই সালমান কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। করোনাকালে সালমান নানাভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঈদের দিনেও তিনি দুস্থ মানুষের জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করেছিলেন।

নিজের ফার্মহাউসে ‘তেরে বিনা’ গানের শুটিং করেছিলেন সালমান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
নিজের ফার্মহাউসে ‘তেরে বিনা’ গানের শুটিং করেছিলেন সালমান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

করোনার কারণে এবার ভারতে জুড়ে সাদামাটাভাবে ঈদ পালন করা হয়। অনেকের হয়তো একবেলা খাওয়াও জোটেনি। তবে এই পবিত্র দিনে সালমান কিছুসংখ্যক মানুষের মুখে ফোটালেন হাসি। ঈদের দিন ভাইজান পাঁচ হাজার পরিবারের খাওয়ার আয়োজন করেছিলেন। এমনকি তিনি ঈদের কিটও তুলে দিয়েছেন তাদের হাতে। প্রতিটা কিটের মধ্যে ছিল ৫০–এর বেশি মানুষের জন্য কোরমা তৈরির উপাদান। এ ছাড়া ২৫ হাজার পরিবারের দৈনিক রেশনের বন্দোবস্ত করেছেন এই বলিউড নায়ক।


লকডাউনের শুরুতেই সালমান বলিউডের দিনমজুরদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রদান করেছেন। তিনি ৩০ হাজারের বেশি মজদুরকে সাহায্য করে চলেছেন। আর সে জন্য ভাইজান ১০ কোটি রুপির বেশি অর্থ খরচ করবেন বলে কথা দিয়েছেন। এ ছাড়া সালমান অভুক্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থাও করছেন।