ঘরে থেকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা অপুর

অপু বিশ্বাস। ছবি: ফেসবুক
অপু বিশ্বাস। ছবি: ফেসবুক

করোনার মহামারিতে অনেকদিন ধরেই বিনোদনের সব মাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ। বিকল্পভাবে ছোট পর্দা ও বড় পর্দার কোনো কোনো পরিচালক, শিল্পী নিজ নিজ ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাজ করছেন। ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসও ঘরে বসে ‘আলো আসবেই’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। দেবাশীষ বিশ্বাসের পরিচালনায় এই ছবিতে বাংলাদেশের আরও ১৬ জন বড় পর্দার তারকা কাজ করেছেন। ঈদে শাপলা মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। শুধু অভিনয় নয়, চলচ্চিত্রটি তৈরির পরিকল্পনাতেও দেবাশীষের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অপু বিশ্বাস।

এদিকে ১৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের এই ছবি ইউটিউবে মুক্তির পর দর্শকের সাড়া পড়েনি বললেই চলে। এককথায়, যাকে বলে ফ্লপ। চার দিনে মাত্র ৭ হাজার ৪০০ বার দেখা হয়েছে এই ছবি। ছবির অন্যতম শিল্পী অপু বিশ্বাস অবশ্য ইতিবাচকভাবেই বললেন, ‘এটি তো অনেক বড় পরিসরে প্রস্তুতি নিয়ে করা হয়নি। করোনার কারণে ঘরবন্দী জীবনে মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য করা। আমরা শিল্পীরাও তো ঘরে বসা। ঘরে বসে কিছু একটা করার জন্য কাজটি করেছি, যাতে আমাদের ভক্ত–দর্শকেরা খানিকটা হলেও বিনোদন পেতে পারেন। কাজটি করার জন্য দেবাশীষ দাদাকে আমিই অনুরোধ করেছি। পরবর্তী সময়ে অনেক শিল্পী কাজটিতে যুক্ত হয়েছেন, এটা কিন্তু বড় ব্যাপার।’

‘আলো আসবেই’ চলচ্চিত্রটির পরিকল্পনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন অপু বিশ্বাস। তিনি জানালেন, এই করোনাকালে উপস্থাপক ও পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস গান গেয়ে প্রায়ই তাঁর নিজের ফেসবুক পেজে আপলোড করেন। একদিন ফোন করে দেবাশীষ দাদাকে কিছু একটা করার অনুরোধ করেন তিনি। অপু বিশ্বাস বললেন, ‘এরই মধ্যে দেখলাম, বলিউড, টলিউডে করোনা পরিস্থিতি ধরে ছোট ছোট চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। দেবাশীষ দাদাকে আমি বললাম, চলো আমরাও এমন কিছু করি। দাদা রাজি হয়ে গেলেন। এভাবেই কাজটি করা।’

অপু বিশ্বাস। ছবি: ফেসবুক
অপু বিশ্বাস। ছবি: ফেসবুক

পরবর্তী সময়ে এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হন ফেরদৌস, অমিত হাসান, মাহিয়া মাহি, আমিন খান, কেয়া, বাপ্পা চৌধুরী, ববি, জায়েদ খান, আঁচল, ইমন, বিদ্যা সিনহা, শাহরিয়াজ, তমা মীর্জা, শিপন, জয় ও মিশা সওদাগর।

বারের ঈদটা একটু অন্য রকমের ছিল। কীভাবে কাটালেন, জানতে চাইলে অপু বিশ্বাস জানান, এবারের ঈদ ছিল সাদামাটা। তিনি বলেন, এবার তো ঈদই হয়নি। একেবারেই সাদামাটা। ঈদ মানেই আনন্দ, আর আনন্দ মানেই শপিং, নতুন জামাকাপড় কেনা। ঈদের দিন সেই জামাকাপড় পরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, কিছুই তো হয়নি।