বিক্ষোভে রাস্তায় তারকারাও

রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে পপশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডে। ছবি: টুইটার
রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে পপশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডে। ছবি: টুইটার

কেবল ঘরে বসে কণ্ঠ ছাড়েননি মার্কিন তারকারা। কেবল টুইট করেই ঘুমিয়ে পড়েননি। করোনাকে ভুলে বিক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে পথে নেমেছেন তাঁদের অনেকে। পুলিশের পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের মৃত্যুর প্রতিবাদ করেছেন। যেন করোনায় ভয় নেই তাঁদের।

গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে পুলিশের নির্যাতনে মারা যান সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েড। আফ্রো-আমেরিকান এই ব্যক্তির মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছে সারা বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা, আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক সিটি, ওয়াশিংটন ডিসিসহ দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রধান সব শহরের পথে নেমেছেন লাখ লাখ মানুষ। তাঁদের দলে ভিড়েছেন অস্কার ও গ্র্যামিজয়ী মার্কিন তারকারা।

অস্কারজয়ী অভিনেতা জেমি ফক্স বলেছেন, ‘আমরা অবস্থান নিতে ভয় পাই না, আমরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করি না।’ সান ফ্রান্সিসকোর পথে পথে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীরা যখন মৃত ফ্লয়েডের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে চিৎকার করছিলেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’, সেই দলে ছিলেন ফক্সও। তারকাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘হলিউডের বন্ধুরা, চলে এসো। এটা ঘরে বসে থাকার সময় নয়, এটা টুইট বা খুদেবার্তা পাঠানোর সময় নয়।’

হলিউড অভিনেত্রী টেসা থম্পসনও নেমেছিলেন রাস্তায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
হলিউড অভিনেত্রী টেসা থম্পসনও নেমেছিলেন রাস্তায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিক্ষুব্ধ মানুষের দলে ফ্লয়েডের ছবি হাতে ছিলেন মার্কিন অভিনেতা নিক ক্যানন, প্রতিবাদী বার্তা হাতে গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডে। অভিনেত্রী টেসা থম্পসনকে চিৎকার করতে দেখা গেছে ‘আমেরিকা আমাদের’ বলে। ‘দ্য ইনসিকিউর’ ছবির অভিনেতা কেনড্রিক স্যাম্পসন জানিয়েছেন, বিক্ষোভে গিয়ে সাতবার রাবার বুলেটে বিদ্ধ হয়েছেন তিনি, লাঠিপেটা খেয়েছেন তাঁর বন্ধু। গায়িকা কেহলানিকে দেখা গেছে প্ল্যাকার্ড হাতে, তাতে লেখা ‘আমাদের অস্তিত্বকে শ্রদ্ধা করো, নয়তো রুখে দেব।’
সূত্র: ইয়াহু