তারার জগতে এত অন্ধকার

ঘরে বসে দেখতে পারেন এ তিনটি সিনেমা
ঘরে বসে দেখতে পারেন এ তিনটি সিনেমা

ডার্টি পিকচার ছবিটি মুক্তির পরপরই সুপারহিটের তকমা পেয়েছিল। এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা যেমন পেয়েছিলেন বিদ্যা বালান, তেমনি সমালোচিত হয়েছেন উত্তেজক পোশাক পরার অভিযোগে। কিন্তু ছবিটি যদি হয় দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতাকে নিয়ে, স্বল্পবসনা না হলে তো চরিত্র বিশ্বাসযোগ্যতা পায় না! একসময়কার তুমুল জনপ্রিয় তারকা সিল্ক স্মিতার জীবনের করুণ পরিণতি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এ রকম একেকজন তারকার উত্থানের পেছনে আছে কত গ্লানি, সমঝোতা ও অবমাননার কাহিনি।

বিদ্যা বালানের সঙ্গে নাসিরুদ্দিন শাহের অভিনয় আর বাপ্পি লাহিড়ীর সুর ও সংগীত ছবিটির ব্যাপক জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। সত্তর দশকের গেটআপ, মেকআপ, নাচ ও গান দর্শকদের যেন সেই সময়টাতেই নিয়ে যায়।

বিভিন্ন পণ্যের মডেল হওয়া, ফ্যাশন শোর র‍্যাম্পে হেঁটে দর্শকদের চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেক তরুণ–তরুণী। কিন্তু বিলবোর্ডে যাঁদের বিশাল আকৃতির ছবি দেখা যায়, তাঁদের তারকা হয়ে ওঠার পেছনে আছে কত প্রতিযোগিতা ও দীর্ঘশ্বাসের কাহিনি, তার খবর রাখে কজন? করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তার অঙ্গুলি হেলনে যেমন কারও ক্যারিয়ার ঝলমলে হয়ে ওঠে, তেমনি তাঁদেরই ভ্রুকুটিতে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার ঘটনা যে কত ঘটছে গ্ল্যামার জগতে, ফ্যাশন ছবিটিতে উঠে আসে সেই চিত্র। এই ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর কঙ্গনা রনৌত অভিনয় করেছেন রীতিমতো পাল্লা দিয়ে।

বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের জীবন নাটকীয় সব উপাদানে ভরা। ভারতীয় চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান শিল্পীযুগল সুনীল দত্ত ও নার্গিসের সন্তান সঞ্জয়ের জীবননির্ভর ছবি সঞ্জু। প্রথম ছবি হিট হওয়ার পর কুসঙ্গে এসে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সঞ্জয়। ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখে। এই সময় মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের আকুতি মাদকের পথ থেকে ফিরিয়ে আনে তাঁকে। ক্যারিয়ার চাঙা হয়ে ওঠে আবার। কিন্তু এর মধ্যে মুম্বাইয়ের দাঙ্গার সময় অস্ত্র রাখার দায়ে শাস্তি হয় তাঁর। একের পর এক দ্বন্দ্ব–সংঘাতে জড়িয়ে পড়া ও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প সঞ্জু। সঞ্জয় দত্তের জীবিতাবস্থায় তাঁর চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রণবীর কাপুর। রণবীরের চেহারা ও ইমেজের সঙ্গে সঞ্জয়ের বৈসাদৃশ্যই বেশি। কিন্তু নিপুণ মেকআপ আর অসাধারণ অভিনয়ের জোরে এই সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে গেছেন তিনি।
তারকা জগতের আলো-অন্ধকার নিয়ে আরেকটি আলোচিত ছবি হিরোইন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুই জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকার প্রেমের সম্পর্ক ও সেই সম্পর্কের টানাপোড়েন ক্যারিয়ারকে কী অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয়, তা নিপুণ দক্ষতায় তুলে ধরেছেন পরিচালক মধুর ভান্ডারকর। নায়িকার চরিত্রে নিজের অভিনয় প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন কারিনা কাপুর। জনান্তিকে বলে রাখি, এই ছবির কাহিনির সঙ্গে আমাদের দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুই জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকার প্রেম ও পরিণতিরও যেন কিছুটা মিল পাওয়া যায়।

এ ছাড়া ইংরেজি ছবি আ স্টার ইজ বর্ন, হিন্দি ছবি আশিকী ২ ও কামিয়াব ইত্যাদি ছবিতেও তারকাজগতের আলো-অন্ধকারের সন্ধান পাবেন দর্শক।