আগে পৃথিবী স্বাভাবিক হোক

তপন চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো
তপন চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো

গত এপ্রিল মাসে কানাডায় পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন শিল্পী তপন চৌধুরী। সেখান থেকে আজ রাতে প্রথম আলোর ফেসবুক আয়োজন 'ঘরে বসে শোনাব গান'-এ শুনিয়েছেন তিনি। সংগীতের প্রিয় স্বজন সুবীর নন্দীকে নিয়েও কথা বললেন তিনি।

কেমন আছেন?
আছি, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদেই আছি।

কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন?
গান শুনে, সিনেমা দেখে, পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে কাটাচ্ছি।

করোনার চরম সংক্রমণের সময়ে ঢাকা ছেড়ে হঠাৎ কানাডায় চলে গেলেন?
ওই সময়ে টিকিট করা ছিল, সে কারণে চলে আসতে হয়েছে। ফিরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হলো। কী আর করা, সারা পৃথিবীই অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেক দুঃসংবাদ শুনছি প্রতিনিয়ত, মনটাও বিমর্ষ হয়ে থাকে।

কবে ফিরবেন?
আগে পৃথিবী স্বাভাবিক হোক। এটা একটা দেশ বা মহাদেশের ব্যাপার নয়, সারা পৃথিবীর। সবকিছু ঠিকঠাক না হলে ঘর থেকে বের হতে চাই না।

আপনি রবীন্দ্রসংগীত, লোকগান, আধুনিক, ব্যান্ড—প্রায় সব ধরনের গান গেয়েছেন। পছন্দের ঘরানা কোনটি?
আমার পছন্দ ভালো গান, সেটা যে ভাষা বা যে ঘরানারই হোক না কেন। গানকে আমি গানই মনে করি।

আজ কী কী গান শোনালেন?
একটা ফোক গান করেছি, আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি, মন বান্ধিবি কেমনে'। এটা অনেকেই গেয়েছেন কিন্তু আমি আবার গাইলাম খালি গলায়। পরে অবশ্য যন্ত্রানুষঙ্গে নতুন করে গেয়েছি। গানটা এই সময়ের সঙ্গে খুব সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ ছাড়া সুবীরদাকে স্মরণ করে নিজের গাওয়া 'এ কোন ফাগুন' গানটাও শুনিয়েছে। আরও গেয়েছি 'পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে', 'কান্দো ক্যানে মন', 'ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে' ও 'ধনধান্য পুষ্পভরা' গানগুলো। শেষের গান দুটো আমাদের হৃদয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। দেশকে সব সময় মিস করি, করব।

সুবীরদার মৃত্যুবার্ষিকী গেল, তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করা হলো না…
সুবীরদার সঙ্গে আমার জীবনের অনেক কিছু জড়িত। তিনি আমার অনেক শ্রদ্ধার মানুষ। তিনি যে এত দ্রুত চলে যাবেন, চিন্তাও করিনি। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর দিন আমরা তাঁকে স্মরণ করে অনলাইনে একটা আড্ডা করেছি। লন্ডন থেকে জাহাঙ্গীর রানা সেটার আয়োজন করেছিল। বাংলাদেশ থেকে গীতিকার কবির বকুল, সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী ও শিল্পী শাকিলা শর্মা যুক্ত হয়েছিলেন তাতে। আমরা গানে-কথায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।