আগে প্রেম, পরে ক্যারিয়ার

ডাকোটা জনসন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ডাকোটা জনসন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

ফিফটি শেডস অব গ্রে, ফিফটি শেডস ডার্কার, ফিফটি শেডস ফ্রিড—এই তিনটি ছবি বানাতে খরচ হয়েছিল ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর প্রযোজকদের মুখে চওড়া হাসি ফুটিয়ে তিনটি ছবি তুলে এনেছিল ১১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। 'ফিফটি শেডস'–এর এই ফিল্ম সিরিজ দিয়েই ক্যারিয়ারের মই বেয়ে তড়তড় করে ওপরে উঠেছেন ৩০ বছর বয়সী হলিউড অভিনেত্রী ডাকোটা জনসন।

২৫ বছর বয়সে বড় পর্দায় বিখ্যাত 'আনা' চরিত্রটি হয়ে ওঠার সুযোগ পান ডাকোটা। আনা আর গ্রের প্রেম বড় পর্দার চিরন্তন প্রেমগুলোর একটি। এর আগেও একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডাকোটা। কিন্তু 'সাহসী' চরিত্র আনা দিয়ে ডাকোটা যেভাবে বিশ্বের মানুষের নজরে চলে এলেন, সেটা ক্যারিয়ারে এর আগে কখনো ঘটেনি। সেই সময় ডাকোটা মডেল ম্যাথিউ হিটের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। ম্যাথিউ শুরুতে ডাকোটার এই চরিত্রে সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কল্পনাও করেননি এই ছবি রীতিমতো হইচই ফেলে দেবে সারা বিশ্বে।

ডাকোটা জনসন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ডাকোটা জনসন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

২০১৫ সালে এই সিরিজের প্রথম ছবি মুক্তির পর ডাকোটা রীতিমতো হলিউডের প্রথম শ্রেণির তারকা বনে যান। পর্দার গ্রে, অর্থাৎ জেমি ডর্নানের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুজব রটে। এসবই ম্যাথিউসের জন্য নিরাপত্তাহীনতা আর মানসিক সংকট তৈরি করে। তিনি পরবর্তী সময়ে ডাকোটাকে তাঁকে অথবা আনা চরিত্র—এই দুইয়ের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলেন। সঙ্গে এ–ও বলেন যে ডাকোটার তারকাখ্যাতি, তাঁকে নিয়ে মিডিয়ার শোরগোল পড়ে যাওয়া, তাঁর সঙ্গে জেমির প্রেমের গুজব—এসবই ম্যাথিউর রাতের ঘুম ও মনের শান্তি দুই-ই নষ্ট করে দিয়েছে।


ডাকোটা এবার ম্যাথিউ ও ক্যারিয়ার, এই দুয়ের মধ্যে ক্যারিয়ারকে বেছে নেন। আর সেখানে চূড়ান্ত সফলতার দেখা পান। অবশ্য 'আনা' চরিত্রের জন্য তাঁকে দীর্ঘদিন মানসিক স্বাস্থ্যসেবাও নিতে হয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে তিনি ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী ক্রিস মার্টিনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন। এখন পর্যন্ত তাঁরা একসঙ্গেই আছেন।