সব এলোমেলো হয়ে গেল

সিয়াম আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
সিয়াম আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দী বড় পর্দার তারকা সিয়াম আহমেদ। মাহিয়া মাহির বিপরীতে প্রথম ছবি স্বপ্নবাজিতে তাঁর অংশের শুটিং বন্ধ হয়ে গেছে। মুক্তি পায়নি তাঁর ঈদের ছবিও। এখন সময় কাটছে কীভাবে। কথা হলো প্রথম আলোর সঙ্গে।

সময় কাটছে কীভাবে?
রাত–দিনের সময়টা এলোমেলো হয়ে গেছে। রাতে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা, ওয়েব সিরিজ দেখছি। দিনে ৪৫ মিনিটের মতো শরীরচর্চা করি। এর বাইরে সিনেমার গল্প লেখার চেষ্টা করছি।

লেখার ভাবনা এল কীভাবে?
সারা বছর সিনেমার কাজের মধ্যেই থাকি। কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের গল্প মাথায় আসে। এর আগে অনেক গল্প মাথায় এসেছে। সেগুলো লোকেশনে বসেই বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালক, চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছি। লিখে রাখা হয়নি। কিন্তু এবার বাসায় বসে গল্পের ভাবনাগুলো লিখে রাখছি। এরই মধ্যে সিনেমার দুটি গল্প লিখে ফেলেছি।

সিয়াম আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
সিয়াম আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার শুটিংয়ের অনুমতি মিলেছে। এর মধ্যে শুটিং করার ইচ্ছা আছে?
না, এখনই শুটিংয়ে যেতে চাই না। সিনেমা মানে শত মানুষের ইউনিট। সুতরাং এই অবস্থায় নিরাপদ নয়। তা ছাড়া আমার বাসায় মা–বাবা আছেন। এ কারণেই আমি শুটিং করব না আপাতত। মা–বাবাকে ভালো রাখার জন্যই কাজ।

সিয়াম আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো
সিয়াম আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো

অনেকেই মনে করছিলেন, বছরটা হবে সিনেমার ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। বড় বাজেটের পাঁচটি ছবি হাতে নিয়ে আপনারও বড় প্রাপ্তির বছর ছিল এটি। কিন্তু সবকিছু আটকে গেল....
করোনাভাইরাসের কারনে সবকিছু থমকে গেল। প্রায় ডজনখানেক বড় বাজেটের ছবি মুক্তির প্রক্রিয়ায় ছিল এ বছর। আশা করেছিলাম, সিনেমা ঘুরে দাঁড়ানোর সূচনা হবে এই বছরে। ভিন্ন গল্প, ভিন্ন নির্মাণের অনেক ছবি দিয়ে আমারও বড় প্রাপ্তির বছর ছিল এটি। কিন্তু প্রকৃতির নির্মমতায় করোনায় সব এলোমেলো হয়ে গেল।

এই পরিস্থিতিতে অবশিষ্ট অনেক সিনেমা হল একেবারেই বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাহলে সিনেমা চলবে কোথায়?
আমার কাছে মনে হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ভাবনাকে পরিবর্তন করতে হবে। মাল্টিপ্লেক্স তো আস্তে আস্তে বাড়ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়ার মধ্যে আসতে হবে। আজ নেটফ্লিক্স সারা দুনিয়া শাসন করছে। শত শত কোটি টাকার বাজেটে ছবি নির্মাণ করে শুধু অ্যাপে মুক্তি দিয়েই লাভ ঘরে তুলে নিচ্ছে। এখন থেকে সে পথেই হাঁটার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে এগোতে হবে আমাদের।