বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সরব হলেন নীরব লরেন্স

জেনিফার লরেন্স। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
জেনিফার লরেন্স। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ইন্টারনেটের দুনিয়াকে দুই চোখে দেখতে পারেন না ২৯ বছর বয়সী অস্কারজয়ী হলিউড তারকা জেনিফার লরেন্স। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটার—কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘদিন তাঁর কোনো অ্যাকাউন্ট ছিল না। কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, 'আমার কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যতটা না ইতিবাচক, তার চেয়ে ঢের বেশি নেতিবাচক। আর আমার জীবনে আমি অযথা সময় নষ্ট করে এই সব নেতিবাচকতাকে স্থান দিতে পারি না।'

বছরখানেক আগে টুইটারে একটা অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন লরেন্স। কিন্তু সেই ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে কখনো তেমন কিছুই বলেননি এই এক্স-মেন, হাঙ্গার গেমস তারকা। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর যখন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে, এই বেলা মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী। টুইটারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন। জর্জ ফ্লয়েডের আগে মার্চে লুইসভিল মেট্রো পুলিশ ব্রিয়ন্না টেইলর নামে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে 'ভুল করে' হত্যা করে। কিন্তু সেই বিচারকাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোচ্ছে। তাই আইনি মারপ্যাঁচের অবসান ঘটিয়ে ব্রিয়ান্না হত্যার দ্রুত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন জেনিফার লরেন্স।

জেনিফার লরেন্স। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
জেনিফার লরেন্স। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

লরেন্স লেখেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি চারজন কৃষ্ণাঙ্গের একজনকে জীবনে কখনো না কখনো বিনা কারণে কারাভোগ করতে হয়। আইনও চরমভাবে একপেশে, দুর্নীতিগ্রস্ত। অ্যাটর্নি জেনারেল ড্যানিয়েল ক্যামেরুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যত দ্রুত সম্ভব, যেভাবে সম্ভব, বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা আনার ব্যবস্থা করুন। বর্ণবাদ যেভাবে হোক, বিশ্ব থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। কালো নারীদের জন্য নিরাপদ যুক্তরাষ্ট্র চাই। আর যদি এই সময়েও আমরা সেটা না পারি, তাহলে আর কবে?'