এক ছবি থেকেই ২১২ কোটি টাকা বিয়ন্সের

বিয়ন্সে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বিয়ন্সে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

দ্য লায়ন কিং সিনেমার 'স্পিরিট' গানটির কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। এই গানের মিউজিক ভিডিওতেই মরুভূমিতে সংগীতশিল্পী, গীতিকার, প্রযোজক, নৃত্যশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী মা বিয়ন্সের হাত ধরল তাঁর সাত বছর বয়সী মেয়ে ব্লু আইভি। এই ছবিতে কেবল গান গেয়েই ক্ষান্ত দেননি ৩৮ বছর বয়সী বিয়ন্সে। সিম্বার সবচেয়ে কাছের বন্ধু 'নালা' কথা বলেছে বিয়ন্সের কণ্ঠে। গান আর কণ্ঠ দেওয়া মিলিয়ে এই ছবি থেকে বিয়ন্সে মোটা অঙ্কের চেক পেয়েছেন। এই সিনেমা থেকে বিয়ন্সের আয় আপনাকে দ্য লায়ন কিং সিনেমার সিংহের গর্জনের কথাই মনে করিয়ে দেবে!

অবশ্য শিল্পী ও কলাকুশলীরা যত টাকাই নিক না কেন, প্রযোজক ও পরিচালক জন ফ্যাভর‍্যুর পকেটে ঢুকেছে তার চেয়ে ঢের কয়েক গুণ। কেননা সিনেমাটি বানাতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। আর এই ছবি দিয়ে সারা বিশ্ব থেকে আয় ১৪ হাজার কোটির বেশি টাকা। দ্য লায়ন কিং ২০১৯ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী ছবি। অন্যদিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী ছবির তালিকায় এটি নবম স্থান অধিকার করে নিয়েছে।

বিয়ন্সে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বিয়ন্সে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিয়ন্সে ছাড়াও ইংরেজি ভার্সনে কণ্ঠ দিয়েছেন ডোনাল্ড গ্রোভার, জেমস আর্ল জোনসসহ আরও অনেকে। আর হিন্দি ভার্সনে সিম্বা আর মুফাসা কথা বলেছে শাহরুখ খান ও শাহরুখপুত্র আরিয়ানের কণ্ঠে।হলিউড রিপোর্টারের প্রতিবেদন অনুসারে কেবল 'নালা'র গলায় কথা বলার জন্য বিয়ন্সে গুনেছেন ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১২৭ কোটি টাকার বেশি। আর 'স্পিরিট' গানের জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে যোগ হয়েছে আরও ১০ মিলিয়ন ডলার বা আরও ৮৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এক ছবি থেকেই প্রায় ২১২ কোটি টাকা নিয়েছেন বিয়ন্সে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক গোনা শিল্পীদের একজন বিয়ন্সে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ বাংলাদেশি অর্থমূল্যে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সমান। 'পয়সাওয়ালা' মার্কিন নারীদের মধ্যে ২০১৮ সালে তাঁর অবস্থান ছিল ৫৩তম আর ২০১৯ সালে ৫১তম।