করোনাকালে মহাকালের নতুন নাটক 'ড. হ্যানিম্যান'

ড. হ্যানিম্যান চরিত্রে মীর জাহিদ হাসান। ছবি: সংগৃহীত
ড. হ্যানিম্যান চরিত্রে মীর জাহিদ হাসান। ছবি: সংগৃহীত

করোনার এই সময়ে বিপর্যস্ত বিশ্ব। নিভে আছে মঞ্চপ্রদীপ। সহসাই খুলছে না মিলনায়তনের ফটক। তবু সংস্কৃতিকর্মীরা বসে নেই। এই সময়েও বাংলাদেশের নাটকের দল মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় তাদের নতুন প্রযোজনা আনতে যাচ্ছে। নাটকটি তারা মঞ্চে আনছে চিকিৎসক ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। দলের ৪১তম এই নতুন নাটকের নাম ‘ডা. হ্যানিম্যান’। হোমিওপ্যাথির জনক ডা. হ্যানিম্যানের জীবন এবং কর্ম-আশ্রিত নাটকটির রচয়িতা তরুণ নাট্যকার অপূর্ব কুমার। নাটকটির নাম ভূমিকায় একক অভিনয় করেছেন দলের সভাপতি, নির্দেশক ও অভিনেতা মীর জাহিদ হাসান। নাটকটির নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

এটি রচনা প্রসঙ্গে নাট্যকার জানান, ৮৮ বছরের যাপিত জীবনে শেষ আট বছর ডা. হ্যানিম্যান জন্মভূমি জার্মানি থেকে এসে বসবাস শুরু করেন ফ্রান্সে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে। সেখানে প্রথম পক্ষের সন্তান এবং জার্মান প্রকাশকদের অনুরোধে ডা. হ্যানিম্যান শর্টহ্যান্ডে লিখে চলেন তাঁর আবিষ্কৃত চিকিৎসাপদ্ধতির কথা। সংকটেই যে নিহিত থাকে সম্ভাবনার বীজ, সে কথার প্রতিধ্বনিই ডা. হ্যানিম্যানের জীবন ও কর্মের বাস্তবতা। সেটি তুলে ধরতেই ‘ডা. হ্যানিম্যান’ নাটক রচনা।

নির্দেশনা প্রসঙ্গে মীর জাহিদ হাসান বলেন, ‘টেকনিক্যাল দিক নিয়ে আমরা ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে কাজ করছি। সপ্তাহে এক দিন মহড়া হচ্ছে এভাবেই। অভিনয়ে নাম ভূমিকায় এবং একক অভিনয়ে যেহেতু আমি, ফলে বাড়তি চাপ অনুভব করলেও এই সংকটকালে আমি এই চাপ স্বেচ্ছায় নিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বিবেচনায় রেখে দলীয় সিদ্ধান্তে একক অভিনয়ের নাটক নির্বাচন করেছি। এই নতুন প্রযোজনার মধ্য দিয়ে আমরা তুলে ধরতে চাই “ডা. হ্যানিম্যান” নাটকের সেই অমোঘ বার্তা, “মানুষ মরণশীল, কিন্তু রোগের চিকিৎসা আছে”।’