সুশান্তের আত্মহত্যার তদন্তে নতুন মোড়

সুশান্ত সিং রাজপুত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সুশান্ত সিং রাজপুত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ১৩ দিন পার হতে চলেছে। ময়নাতদন্তের পূর্ণ রিপোর্টে স্পষ্ট যে এই বলিউড সুপারস্টার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অবশ্য সুশান্তের পরিবারের অভিযোগ ছিল যে তাদের সন্তানকে সুপরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী খুনের কোনো আশঙ্কা নেই।

তারা সবদিক থেকে নিশ্চিত হতে চাইছে যে এটা একটা আত্মহত্যার ঘটনা। পাশাপাশি পুলিশ সুশান্তের মতো উজ্জ্বল তারকার আত্মহত্যার পেছনে সঠিক কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি তদন্ত করতে গিয়ে মুম্বাই পুলিশ এক নতুন সূত্র পেয়েছে।

সুশান্ত সিং রাজপুত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সুশান্ত সিং রাজপুত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সুশান্তের আত্মহত্যার ঘটনাটি তাই আবার শুরু থেকে তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশ। তারা এই বলিউড তারকার আত্মহত্যার স্থলে গিয়ে পুনরায় তদন্ত করছে। সুশান্ত যে কাপড়ের সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগিয়েছিলেন, সেই কাপড়টি এখন পুলিশের নতুন সূত্র। সুশান্তের শরীরের ওজন ধরে রাখতে কাপড়টি আদৌ সক্ষম কি না, তা–ই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন পরীক্ষা–নিরীক্ষা। পুলিশ জানিয়েছে, এই বলিউড সুপারস্টার আত্মহত্যার জন্য একটা সবুজ রঙের ওড়না ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া তদন্তকারীরা একটা বাথরোবের কাপড়ের বেল্ট দুই টুকরো অবস্থায় পেয়েছেন। পুলিশি তল্লাশির সময় সুশান্তের আলমারি লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পান তাঁরা। তাঁদের অনুমান এই বলিউড নায়ক প্রথমে বাথরোবের কাপড়ের বেল্টের সাহায্যে ফাঁসি লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটি সুশান্তের ওজন ধরে রাখতে না পারায় ছিঁড়ে যায়। এরপর তিনি আলমারি হাতড়ে সবুজ ওড়না খুঁজে পান এবং ওই ওড়নার সাহায্যে ফাঁস লাগান।

পরীক্ষার জন্য পুলিশ সবুজ ওড়নাটি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে। কাপড়টি কতটা মজবুত, সুশান্তের ওজন ধরে রাখতে সক্ষম কি না, তা পরীক্ষা করা হবে। পুলিশ এ ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি তদন্ত করছে। তদন্তের ক্ষেত্রে তারা কোনো ত্রুটি রাখতে চায় না। পুলিশের সন্দেহ যে টুইটার অ্যাকাউন্টে হয়তোবা সুশান্তকে হেনস্তা করা হয়েছে। তাই তারা টুইটার কোম্পানির কাছে একটা পত্র লিখে সুশান্তের গত ছয় মাসের রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে। ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। ৩৪ বছরের এই বলিউড তারকার মৃত্যুর তদন্তের জন্য ২৫ জনের জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ।