রুনা লায়লার প্রশংসা ঝিলিকের জন্য

রুনা লায়লার সঙ্গে ঝিলিক। ছবি: ফেসবুক থেকে
রুনা লায়লার সঙ্গে ঝিলিক। ছবি: ফেসবুক থেকে

ধ্রুপদি সুরস্রষ্টা মোজার্টের একটি কম্পোজিশনকে সারগামে রূপান্তরিত করে কণ্ঠে তুলেছেন সংগীতশিল্পী ঝিলিক। আর তাতে প্রশংসাও পাচ্ছেন নানা দিক থেকে। গত ২৯ জুন রাতে দুই মিনিটের একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করার পরপরই তাঁর সহশিল্পীদের কাছে থেকে প্রশংসা আসতে থাকে। বেশ শেয়ারও হয় ভিডিওটি। আর পরের দিন দুপুরে একটি প্রশংসা তাঁর কাছে আসে আশীর্বাদ হয়ে।

ভিডিওর নিচে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার প্রশংসাসূচক মন্তব্যে দেখে চমকে ওঠেন ঝিলিক। বিশ্বাসই হচ্ছিল না। পরে সংবাদ পান রুনা লায়লা তাঁর সঙ্গে কথাও বলতে চান। এরপর রুনা লায়লাকে ফোন দেন ঝিলিক। ফোনে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এই শিল্পী। ঝিলিক বলেন, ‘রুনা ম্যাম যেভাবে আমার এই গায়কির প্রশংসা করেছেন, আমার জীবনে আর কিছু চাওয়ার নেই। তাঁর এই উৎসাহ, অনুপ্রেরণা সারা জীবন সঙ্গে করে রাখব। আগে দিনে এক ঘণ্টা গানের অনুশীলন করতাম। এখন তিন ঘণ্টা করে করব। ভালো গান করার চেষ্টা করে যাব।’

হঠাৎ এটি করার চিন্তা মাথায় এল কীভাবে? এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘তিন দিন আগে একটি ভিডিওতে দেখলাম ভারতের একটি মেয়ে মোজার্টের একটি কম্পোজিশন সারগামে রূপান্তর করে গেয়েছেন। ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়। ভাবলাম, চেষ্টা করলে আমিও পারি এটি। একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে টানা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালাই। ভিডিওটি করতে আরও সময় নিলাম। এরপর রাত ১১টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট করেছি।’

সংগীতশিল্পী ঝিলিক। ছবি: সংগৃহীত
সংগীতশিল্পী ঝিলিক। ছবি: সংগৃহীত

ঝিলিকের গাওয়া ভিডিওটি মঙ্গলবার দুপুরে রুনা লায়লার নজরে আসে। তিনি ভিডিওর নিচে মন্তব্য করেন, ‘ট্রুলি কমেন্ডেবল। ভেরি ওয়েল ডান।’ এর কিছুক্ষণের মধ্যে ভিডিওটি তাঁর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেন সংগীতের এই কিংবদন্তি।

রুনা লায়লা বলেন, ‘দুপুরে জিনিসটা চোখে পড়ে। দেখে খুব ভালো লাগল। ওর (ঝিলিক) ফোন নম্বর আমার কাছে ছিল না। সংবাদ পাঠালাম আমাকে ফোন দিতে। পরে ফোনে কথা বলি। তাঁকে অনুশীলন চালিয়ে যেতে বলেছি। এই চেষ্টা ধরে রাখতে হবে। পুরো জীবনেই গান শেখার শেষ নেই। আমি নিজেও প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু শিখছি। আমি চাই, নতুনেরা ভালো করুক, এগিয়ে যাক। আমি সব সময়ই এই উৎসাহটা দিয়ে আসছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি খুব কঠিন একটা কাজ। ঝিলিক দারুণ তুলেছে। মোজার্টের কাজ সারগামে রূপান্তর করে গেয়েছে। এটি আরও কঠিন।’

ভিডিওটি ভারতীয় সংগীতশিল্পী হরিহরণ ও লতা মঙ্গেশকরের ভাইয়ের ছেলের কাছে পাঠান রুনা লায়লা। তিনি জানান, তাঁর ভালো লাগা থেকে ওই দুজনকে পাঠিয়েছিলেন। শুনে দুজনই প্রশংসা করেছেন। এরপর লতা মঙ্গেশকরের কাছেও গানটি পাঠিয়েছেন রুনা লায়লা।