জেলে না খেটে ১৫৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ

হলিউড প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইন। ছবি: সংগৃহীত
হলিউড প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইন। ছবি: সংগৃহীত

এক দশকে আট নারীকে যৌন হয়রানির দায়ে হলিউড প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনকে দোষী সাব্যস্ত করেন মার্কিন আদালত। জেল খাটার পরিবর্তে বরং তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছেন এই ধনকুবের। যৌন নিগ্রহের শিকার ওই নারীদের ১৮ দশমিক ৮৭৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৫৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হার্ভে।

‘ধর্ষক’ সাব্যস্ত হওয়া এই হলিউড প্রযোজক হার্ভে ‘হার্ভে উইনস্টেইন সারভাইভর অ্যাওয়ার্ড’ নামে একটি তহবিল গঠন করবেন। সেই তহবিল থেকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদের ১৫৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবেন। হলিউডের এই মিডিয়া মোগল এখন ২৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। শতাধিক নারী বিভিন্ন সময়ে হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেসবের বেশ কিছু অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছে।

হলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযোজক হার্ভে ওয়াইনস্টিন। তাঁর বিরুদ্ধে সাবেক প্রযোজনা সহকারী মিমি হ্যালেইকে যৌন নির্যাতন এবং অভিনেত্রী জেসিকা মানকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ দুই অপরাধে তাঁকে আটক করা হয়। গত ৬ জানুয়ারি নিউইয়র্কের আদালতে বিচার শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। গত মার্চ মাসে তাঁকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

জোডি ক্যানটর ও মেগান টুহে নামে নিউইয়র্ক টাইমস-এর দুই প্রতিবেদক ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর হার্ভে ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন লিখে হইচই ফেলে দেন। প্রতিবেদনের সূত্র ধরে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে হ্যাশটেগ মি টু আন্দোলন। ওই প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার পুরস্কারও অর্জন করেন সেই দুই প্রতিবেদক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত তিন দশকে অন্তত আটজন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন হার্ভে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, গিনেথ প্যালট্রো, আসিয়া আর্জেন্তোও, নাতাশিয়া মালথে। দুই ডজনের বেশি অভিযোগের সব কটিই অস্বীকার করেছিলেন হার্ভে।

ঘটনার পর বিশ্বের অনেক দেশেই গোপন যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো সামনে চলে আসতে শুরু করে। যৌন হয়রানির শিকার নারী-পুরুষেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশটেগ মি টু লিখে তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে থাকেন। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস