গুলশানের সেই চোরের চরিত্রে অ্যালেন শুভ্র

নাটকের একটি দৃশ্যে অ্যালেন শুভ্র। ছবি: সংগৃহীত
নাটকের একটি দৃশ্যে অ্যালেন শুভ্র। ছবি: সংগৃহীত

ঘটনাটি বেশ সাড়া ফেলে। গুলশান এলাকার একটি বাড়িতে গ্রিল কেটে প্রবেশ করে চোর। সেই বাসায় কেউ না থাকায় চোর প্রবেশ করে আয়েশি জীবনযাপন এবং নানা রকম মজার কর্মকাণ্ড করতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কদিন ধরেই ঘুরছে। সেই চোরও আটক হয়েছে। এবার সেই ঘটনা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ঈদের টেলিছবি ‘আলাদিনের ফ্ল্যাট’।

আরাম–আয়েশের একটি মুহূর্তে অ্যালেন শুভ্র। ছবি: সংগৃহীত
আরাম–আয়েশের একটি মুহূর্তে অ্যালেন শুভ্র। ছবি: সংগৃহীত

টেলিছবির গল্পে চোরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা অ্যালেন শুভ্র। চোরের এই বাস্তব চরিত্রটি করার প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকে অভিনেতা অ্যালেন শুভ্র চেয়েছিলেন সেই চোরের সঙ্গে দেখা করে চরিত্রটি রপ্ত করতে। কিন্তু সেই চোর কারাগারে থাকায় তার সঙ্গে এ অভিনেতার দেখা করা সম্ভব হয়নি। চরিত্রের প্রয়োজনেই সেই ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ দেখেছেন এ অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি প্রোডিউসার ও নির্মাতার সঙ্গে আলাপ করেছিলাম, যদি চোরের সঙ্গে একটা সাক্ষাৎ করার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে আমার জন্য ভালো হয়। আমার ক্যারেক্টারাইজেশন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কথা বলার ধরন কেমন হবে—সেটার জন্য চোরের সঙ্গে দেখা করলে আমার জন্য ভালো হতো। তাহলে একদম প্রপারটাই করতে পারতাম। কিন্তু সেটা করোনার কারণে আর সম্ভব হয়নি। সেই চোর এখন বন্দী। উপায় না পেয়ে চোরের সেই ভিডিও ফুটেজগুলো দেখেছি, গল্প নিয়ে নির্মাতার সঙ্গে পরামর্শ করেছি। সেসব থেকেই নিজের মতো করে চরিত্রটি আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি।’ সেই ফ্ল্যাটের বিল্ডিংয়ের পাশে ঝুলে থাকা, গ্রিল কেটে জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা—এই সবই করতে হয়েছে এ অভিনেতাকে।

অ্যালেন শুভ্র বলেন, ‘এই করোনার টাইমে চুরি করতে আসার প্রধান কারণ মানুষের টাকা শেষ হয়ে গেছে। একজন টাকার জন্য খাবার কিনতে পারে না। এই বাসায় চুরি করতে এসে দেখে বাসায় প্রচুর খাবার আছে। তখন সে একটা লাক্সারি জীবন বেছে নেয়। টিভি দেখা, নাচানাচি করা, আয়েশে ধূমপান করা—এই সবই আমাকে করতে হয়েছে।’

অ্যালেন শুভ্রর কল্পনায় বাসায় মীম মানতাসা। ছবি: সংগৃহীত
অ্যালেন শুভ্রর কল্পনায় বাসায় মীম মানতাসা। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ের আলোচিত ঘটনার গল্পে কিছুটা পরিবর্তন থাকবে বলে জানালেন নির্মাতা শহীদ-উন নবী। তবে মালিক আমেরিকায় থেকেই সিসি ক্যামেরায় তার বাসায় চোরকে দেখতে পাওয়ার ঘটনা একই থাকবে। ‘দর্শকদের যেন ফ্ল্যাটের মধ্যে একঘেয়েমি মনে না হয়, সে জন্য অন্য ফ্ল্যাট এবং বাইরের মানুষের চিন্তাভাবনা দেখানোর চেষ্টা করেছি’, বললেন নির্মাতা। তিনি নাটকের নাম ‘আলাদিনের ফ্ল্যাট’ রাখা প্রসঙ্গে বলেন, ‘একটা চোর চুরি করতে এসে দেখে আলিশান বাসায় ফ্রিজভর্তি প্রচুর খাবার, টিভি, এসি, আরামদায়ক বিছানা—সবই আছে। তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় বাসায় থেকে যাওয়ার। এই খুশিতে চোরটি নিজেই নানা রকম এন্টারটেইন করতে থাকে। চোরের কাছে এটা ছিল অকল্পনীয়। এমন লাইফস্টাইল তার স্বপ্ন ছিল। সেই জায়গা থেকেই নাটকের নাম ঠিক করা হয়েছে।’

গল্পে বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মিম মানতাসা। অ্যালেনের কল্পনায় এই চরিত্রটি দেখা যাবে। টেলিফিল্মটি ঈদে চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে। এটি লিখেছেন আবীর ফেরদৌস। গল্পভাবনায় নির্মাতা নিজেই।