কোনোভাবে তাঁকে ঢাকায় রাখা গেল না

সাবিনা ইয়াসমিন। ছবি: প্রথম আলো
সাবিনা ইয়াসমিন। ছবি: প্রথম আলো

প্লেব্যাক-সম্রাট হিসেবে পরিচিত এন্ড্রু কিশোর তাঁর জীবনের প্রথম দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছেন বরেণ্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন-এর বিপরীতে। এক সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছিলেন দেশের এই প্লেব্যাক শিল্পী। এন্ড্রু কিশোরের চলে যাওয়ার পর আমরা কথা বলেছি তাঁর সঙ্গে। তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছেন এই শিল্পী সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া

খবরটা নিশ্চয় শুনেছেন, এন্ড্রু কিশোর আর নেই?

উফ...এটা কী শুনলাম! এ খবর আমার জন্য ভীষণ কষ্টের। কী এমন বয়স হয়েছে ওর, কিসের এত তাড়া সবাইকে ছেড়ে চলে যাওয়ার। আমি আর নিতে পারছি না।

এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে শেষ কথা কী হয়েছিল?

সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় নেমেই সে আমাকে ফোন করেছিল। রাজশাহী যাওয়ার পরও একাধিকবার কথা হয়েছে। আর দেখা হয়েছিল সিঙ্গাপুরে যখন আমরা কনসার্ট করলাম। সেদিনের কনসার্টে মিতালী, আমি, হাদী ভাইসহ গাইল। আমাদের সঙ্গে সেদিন এন্ড্রুও গাইল।

বহু বছর ধরে আপনাদের একসঙ্গে পথচলা। দুজনের সম্পর্ক কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
অসাধারণ বন্ধুত্ব বলব। বয়সে ছোট হলেও আমাদের এত এত কাজ হয়েছে, অসাধারণ সব সৃষ্টির মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব না হয়ে উপায় ছিল না। গানের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, আমরা যেমন বন্ধু ছিলাম, তেমনি ভাইবোনের মতো ছিলাম।

এন্ড্রু কিশোরের চলে যাওয়া সংগীতাঙ্গনের কতটা ক্ষতি?
এ যে কী ক্ষতি, তা বলে শেষ করা যাবে না। এন্ড্রুর চলে যাওয়ায় সংগীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনো দিন পূরণ হবে না। কিশোরের আলাদা একটা স্টাইল ছিল, ওই স্টাইল একদম ইউনিক।

এই মুহূর্তে তাঁকে নিয়ে কী মনে পড়ছে?
আমরা একসঙ্গে কত দেশ–বিদেশ গিয়েছি। দেশের আনাচকানাচে গিয়েছি, কত স্মৃতি আমাদের! তবে নিজের প্রতি খুব বেখেয়ালি ছিল। এবারও ঢাকায় ফেরার পর কতবার বলেছি ডাক্তার দেখাও কিশোর। কিন্তু সে চলে গেল রাজশাহী। কোনোভাবে তাঁকে ঢাকায় রাখা গেল না।