আলিয়ার যে স্বপ্ন পূরণ হলো

আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আলিয়া ভাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ছোটবেলা থেকেই আলিয়া ভাটকে একটা স্বপ্ন তাড়া করত। বাবা মহেশ ভাটের পরিচালনায় কাজ করতে চেয়েছিলেন আলিয়া। এই বলিউড নায়িকা চেয়েছিলেন, তাঁর বাবা এমন একটা ছবি বানাবেন, যেখানে পরিবারের সবাই অভিনয় করার মতো। এবার ‘সড়ক টু’ ছবির মাধ্যমে আলিয়ার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। ডিজনি-হটস্টারে আসতে চলেছে মহেশ ভাট পরিচালিত ছবি ‘সড়ক টু’। এই ছবিতে মহেশের দুই কন্যা আলিয়া ও পূজাকে একসঙ্গে দেখা যাবে। পূজা ভাট এর আগে বাবার পরিচালনায় একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। তবে আলিয়ার জন্য এই প্রথম।

সম্প্রতি এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আলিয়া জানালেন তাঁর সেই তাড়িত করা স্বপ্নের কথা। বাবা মহেশ ভাটের পরিচালনায় কাজের প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম, বাবা আর আমি এক ছবিতে কাজ করব। পাশাপাশি পরিবারের সবাই মিলে একটা ছবি করারও ইচ্ছা ছিল। “সড়ক টু” ছবির মাধ্যমে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।’ বাবা হিসেবে নয়, পরিচালক মহেশ ভাটের ছবির বড় ভক্ত আলিয়া। তাই বাবার ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। মহেশ ভাটের ছবির প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি বাবার ছবিকে ঘিরে খুব উৎসাহিত থাকতাম। ওনার ছবি মুক্তির অপেক্ষায় থাকতাম। ওনার কন্যা হিসেবে আমি সব সময় গর্ব বোধ করি। বাবার পরিচালিত গানের দৃশ্যে অভিনয় করার খুব ইচ্ছা ছিল। কারণ, বাবা খুব যত্নের সঙ্গে ছবিতে গানের ব্যবহার করেন। “ভাট ক্যাম্পে”র ছবির গান সবাই খুব পছন্দ করে।’

কথায় কথায় উঠে আসে লকডাউনে আলিয়ার রোজনামচার কথা। এই লকডাউন তাঁকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। নিজেকে এর আগে এভাবে সময় দেওয়া হয়নি জানিয়ে আলিয়া বলেন, ‘লকডাউনের কারণে আমি অনেকটা সময় পেয়েছি। বলা যায় অফুরন্ত অবসর পেয়েছি। আর এই অবসর আমি নানানভাবে উপভোগ করেছি। আমার মন যা চেয়েছে, আমি তা-ই করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আমি প্রচুর ছবি এবং ওয়েব সিরিজ দেখেছি। শুটিংয়ের কারণে সিনেমা বা সিরিজ দেখার সময়ই পেতাম না। আমি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে টিভি বা ল্যাপটপে নানান ধরনের ছবি এবং ওয়েব সিরিজ দেখেছি।’

এ ছাড়া লকডাউনে গিটার বাজানো শিখেছেন আলিয়া। মেডিটেশন আর যোগব্যায়ামও দারুণ উপভোগ করছেন। এমনকি মাঝেমধ্যে রান্নাও করছেন।