লকডাউনে সোনম কাপুরের দিনরাত যেমন কাটছে

সোনম কাপুর ছুটে বেড়াতে ভালোবাসেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সোনম কাপুর ছুটে বেড়াতে ভালোবাসেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বলিউড তারকা সোনম কাপুর ছুটে বেড়াতে ভালোবাসেন। এক শহরে নাকি ১০ দিনের বেশি মন টেকে না তাঁর। লকডাউনের শুরুতেই লন্ডন থেকে উড়াল দিয়েছেন দিল্লি, শ্বশুরবাড়ি। সেখানে ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষেও আরও দুই মাস ছিলেন। তারপর দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরেছেন। আপাতত মা-বাবা, বোন আর জীবনসঙ্গীকে নিয়ে সেখানেই কাটছে সোনমের দিনরাত। কাপুরদের বাড়ির পরিবেশ কেমন? এককথায় সোনমের উত্তর, ‘ম্যাড হাউস’।

সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্যাশনদিস্তা সোনম জানান, সেজেগুজে নতুন নতুন ডিজাইনের জামা, জুতা পরে ফটোশুট, ঘুরতে যাওয়ার দিনগুলোকে খুব মিস করছেন। তবে শ্বশুরবাড়িতেও তাঁর সময় মন্দ কাটেনি। সোনমের শাশুড়ি নাকি সোনমের মতোই সাজুগুজু করতে, নতুন নতুন জামাকাপড় পরে ঘুরে বেড়াতে আর ছবি তুলতে খুবই ভালোবাসেন। তবে আপনি যদি ভাবেন লকডাউনে তাঁরা ভেতরে ঢিলা পায়জামা আর টপস পরে ঘুরেছেন, তাহলে ভুল ভাবছেন। দুপুরে খাবার টেবিলে তাঁরা দুজন আলমারির সবচেয়ে সুন্দর জামাগুলো পরে খেতে বসেছেন। আবার বিকেলে বাগানে হাঁটতে বের হওয়ার সময় বদলে পরেছেন নতুন জামা, নতুন সাজ। লকডাউন বলে নিয়মের এতটুকু হেরফের হয়নি। ভোরবেলা উঠে ঠিকই গান গাইতে গাইতে ঘণ্টাখানেক ট্রেডমিলে ছুটেছেন। নিয়ম করে ক্যালরি মেপে খাচ্ছেন, সিনেমা দেখছেন।

সোনম কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সোনম কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মাসখানেকও হয়নি দিল্লি থেকে ছুটে এসেছেন বাবার বাড়ি মুম্বাইয়ে। বাড়িতে তাঁর বাবা বলিউড তারকা অনিল কাপুর ব্যায়ামকে রীতিমতো নেশা বানিয়ে ফেলেছেন। সারা দিনে তিনি ৫-৬ ঘণ্টা ব্যয় করেন শরীরচর্চায়। ওদিকে সোনমের মা সুনিতা কাপুর আবার ঘণ্টাখানেক পরপর সবাইকে হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ান। তাঁর দিনের একটা বড় অংশ যায় ঘরবাড়ি আর আসবাব স্যানিটাইজার দিয়ে মুছতে মুছতেই। জীবনসঙ্গী আনন্দ আহুজা সোনমের শ্বশুরবাড়িতেও সারা দিন হোম অফিস করেছেন। নিজের শ্বশুরবাড়িতেও তার ব্যতিক্রম নয়। অন্যদিকে সাজুগুজু করে বই পড়তেও ভুলছেন না তাঁরা। সম্প্রতি সোনম কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে তাঁকে দেখা গেছে, লাল গাউন পরে, তার ওপর মানানসই কোট চাপিয়ে, গলায় হার পরে ফিফটি গ্রেটেস্ট শর্ট স্টোরি নামের গল্পের বই পড়তে।