দীপিকাকে ডায়নার খোলা চিঠি

দীপিকা পাড়ুকোন ও ডায়না পেন্টি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
দীপিকা পাড়ুকোন ও ডায়না পেন্টি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

‘ককটেল’—বন্ধুত্ব, ভালোবাসা আর উদ্দাম যৌবনের ছবি। মাত্র ৬৫ কোটি রুপি খরচ করে বানানো ছবিটি তুলে এনেছিল ১২৫ কোটি রুপিরও বেশি। হোমি আদাজানিয়া পরিচালিত অত্যন্ত সফল এই ছবির আট বছর পূর্ণ হলো সম্প্রতি। ‘ককটেল’ সিনেমাজুড়ে ছিল দীপিকা পাড়ুকোন ও ডায়না পেন্টির বন্ধুত্বের কথা। পর্দায় দীপিকা ও ডায়নার রসায়ন আজও ভুলতে পারেননি সিনেমাপ্রেমীরা। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় ডায়নার। তাই ‘ককটেল’ তাঁর জীবনে বিশেষ এক ছবি। এই ছবির আট বছর পূর্তি উপলক্ষে ডায়না এক হৃদয়গ্রাহী খোলা চিঠি লিখেছেন দীপিকাকে।

‘ককটেল’ মানেই দুই তরুণী ‘ভেরোনিকা’ ও ‘মীরা’র বন্ধুত্ব এবং ত্রিকোণ প্রেমের কথা। এই ছবিতে দীপিকা, ডায়না ছাড়াও ছিলেন সাইফ আলী খান। এই বলিউড নায়িকা দীপিকার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘দীপিকা পাড়ুকোন আমার প্রথম ছবির প্রথম সহঅভিনেত্রী। আমি অচেনা, অজানা এক দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছিলাম। সেই মুহূর্তে দীপিকা আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল। আমার ভয়কে দূর করেছিল। তাই আমার জীবনে দীপিকার প্রভাব অনেক। আমি তখন সদ্য তরুণী, পেশাদার মডেল ছিলাম। আর হঠাৎই আমি এক নতুন দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছিলাম। যে দুনিয়া আমার কাছে নতুন আর সম্পূর্ণ অজানা। দীপিকা তত দিনে বেশ কয়েকটা ছবি করে ফেলেছে। ও তখন উঠতি তারকা। আমি সব সময় দীপিকার উষ্ণতা পেয়ে এসেছি। দীপিকা ওর সুন্দর হাসি হেসে সব সময় আমাকে অনুভব করাত যে আমি ওদেরই একজন।’

ডায়না এই চিঠিতে ‘ককটেল’ নিয়ে আর স্মৃতি রোমন্থন করেন। তিনি তাঁর প্রথম দিনের শুটিংয়ের কথাও বলেছেন এই চিঠিতে। ডায়না লিখেছেন, ‘আমি এখনো মনে করি, আমার প্রথম দিনের শুটিংয়ের কথা। আমরা লন্ডনে ছিলাম। আমি আমার হোটেলের ঘরে একলা বসে আছি। হঠাৎই দীপিকার কাছ থেকে একটা মেসেজ পাই। ও আমাকে ওর সঙ্গে ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। আমি ডিনারে গিয়ে দেখি, সেখানে সাইফ, সিনেমার পরিচালকসহ আরও অনেকে ছিলেন। দীপিকা নিজে থেকেই সেদিন এই উদ্যোগ নিয়েছিল। ও আমাকে অনুভব করাতে চেয়েছিল যে আমি ওদেরই একজন।’

চিঠির শেষেও দীপিকার প্রশংসা করতে ভোলেননি ডায়ানা, ‘আমি প্রতিনিয়ত দীপিকার কাছ থেকে শিখি। ও সম্পূর্ণ পেশাদার। তাঁর নিয়মানুবর্তিতা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। ও কখনো সেটে দেরিতে পৌঁছায় না। আবার কখন প্যাকআপ হবে, তা নিয়েও ওর কোনো মাথাব্যথা নেই। হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও দীপিকা জিমের জন্য ঠিক সময় বের করে। আমি অবাক হয়ে দেখেছি যে ও নিজেকে কীভাবে “ভেরোনিকা”তে বদলে ফেলেছিল, যে চরিত্রটি দীপিকার ব্যক্তিত্বের একশ আশি ডিগ্রি বিপরীত। পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে দীপিকা সব সময় সাহসিকতা দেখিয়েছে।’