আশা ভোসলের বিদ্যুতের বিল ২ লাখ রুপি!

আশা ভোসলে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আশা ভোসলে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

লকডাউনের শুরু থেকে ভুতুড়ে বিদ্যুতের বিলের শিকার সাধারণ মানুষ থেকে বিটাউন তারকারা। মাসের শেষে বিদ্যুৎ বিলের বহর দেখে অনেকেরই চোখ কপালে। এমনকি এর হাত থেকে রেহাই পেলেন না কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী আশা ভোসলে। অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের শিকার হলেন খ্যাতনামা এই সংগীতশিল্পী। আশা ভোসলের বিদ্যুৎ বিলের অঙ্ক দেখলে যে–কারওই চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

জানা গেছে, আশা ভোসলের লোনাভোলার বাংলোর বিদ্যুতের বিল এসেছে দুই লাখ রুপি। বিলের এত পরিমাণ অঙ্ক দেখে যারপরনাই বিরক্ত জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। তিনি মহারাষ্ট্র বিদ্যুৎ সংস্থা মহাডিস্কমের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। মহাডিস্কম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল পাঠানো হয়েছে। আশার লোনাভোলা বাংলোর শেষ বিল এসেছে ২ লাখ ৮ হাজার ৮৭০ রুপি। এর আগের দুই মাসে যথাক্রমে ৮ হাজার ৮৫৫ এবং ৮ হাজার ৯৯৬ রুপি বিল এসেছে। তাই এবারের বিল সত্যি ভুতুড়ে, এটা বলাই যায়।

বলিউডের অনেক তারকাই মাস শেষে হাতে পেয়েছেন ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল। তাপসী পান্নু, রেনুকা সাহানে, আরশাদ ওয়ারসি, দিব্যা দত্তসহ অনেকেই এর শিকার। সম্প্রতি ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিংও এর শিকার হয়েছেন।

এর আগে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাপসী পান্নু। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এর আগে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাপসী পান্নু। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এর আগে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাপসী পান্নু। গত মে মাসে যেখানে তাপসীর বাড়ির বিল ছিল ৩ হাজার ৮৫০ টাকা, সেটি জুন মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার টাকায়। সে সময় এ তারকা নিজেই জানালেন, ওই বাড়ি নাকি লকডাউনে বন্ধ ছিল। তিনি এই ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি নিয়ে টুইটারে লিখেছেনও। তাঁর কথা, নতুন কেনা হয়েছে এই অ্যাপার্টমেন্ট। তিন মাস লকডাউনে সেখানে কেবল প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ঢোকা হয়েছে। আর তাতেই কিনা এই বিল। তাপসী অবাক হয়েছেন।

ভুতুড়ে বিল নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়েছিলেন আরশাদ ওয়ারসি
ভুতুড়ে বিল নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়েছিলেন আরশাদ ওয়ারসি

ভুতুড়ে বিল নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়েছিলেন আরশাদ ওয়ারসি। বিদ্যুৎ বিল বাবদ তাঁকে ভারতীয় মুদ্রায় ১ লাখ ৩ হাজার টাকা গুনতে হয়েছিল। রসিকতা করে টুইটারে মুন্নাভাই এমবিবিএসের সার্কিট ফ্যানেদের কাছে তাঁর পেইন্টিং কেনার আবেদন রাখেন। আসলে লকডাউনে বাড়ি বসে শখে এঁকেছেন আরশাদ। তবে এই পেইন্টিং বিক্রি হলে ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে পারবেন বলেই দাবি করেছেন অভিনেতা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘দয়া করে আমার পেইন্টিং আপনারা কিনুন, আমাকে আদানিরে ইলেকট্রিক বিল দিতে হবে, পরের বিলের জন্য আমি কিডনিটা তুলে রেখেছি।’