সালমান মহানায়ক, শাকিব সুদর্শন - নেপথ্যে কী?

সালমান শাহ ও শাকিব খান। ছবি সংগৃহীত
সালমান শাহ ও শাকিব খান। ছবি সংগৃহীত

ঢালিউডের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহকে মহানায়ক আর সুপারস্টার শাকিব খানকে দেশের সুদর্শন নায়ক বললেন পরিচালক দীপঙ্কর দীপন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির এই পরিচালক তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘উত্তমকুমারের পর সবচেয়ে সুদর্শন নায়ক শাকিব খান।’ দীপনের এমন মন্তব্যকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখছেন। কেউ কেউ এটিকে শাকিবকে ইমপ্রেস করার কৌশল বললেও দীপন তা মানতে একেবারে নারাজ।

একটা লম্বা সময় ধরে নাটক বানালেও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমা বানিয়ে বেশি আলোচিত দীপঙ্কর দীপন। এই পরিচালক এখন আরও কয়েকটি সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তবে কোনোটিতে তাঁর নায়ক শাকিব খান ছিলেন না। এমনকি সামনেও যে কয়টি ছবির পরিকল্পনা করেছেন, কোনোটিতে শাকিব খানের নাম শোনা যায়নি।

শাকিব খান শিগগিরই অনন্য মামুন পরিচালিত ‘নবাব এলএলবি’ নামের একটি ছবির কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। ছবিতে স্ক্রিপ্ট ডক্টর হিসেবে কাজ করছেন এই নির্মাতা। হঠাৎ করে তাঁর এমন ফেসবুক পোস্টে অনেকেই মনে করছেন, পরবর্তী ছবি তিনি শাকিব খানকে নিয়েই এগোচ্ছেন। কী বলছেন দীপন? ‘স্ট্যাটাসের পর অনেকেই মনে করছেন, আমি হয়তো শাকিব খানকে নিয়ে কাজ করছি। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতেই এমন স্ট্যাটাস দিয়েছি। আমাদের সম্পর্ক এমনিতেই ভালো, কিন্তু আমরা কোনো কাজ করছি না। ২০২১ সাল লাগবে আমার হাতের কাজ শেষ করতে। শাকিবের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং, আড্ডা হয়েছে। স্বাভাবিক লুকে তাঁকে দেখে আমার কাছে সুদর্শন মনে হয়েছে।’

সালমান শাহ, শাকিব খান, দীপঙ্কর দীপন। ছবি সংগৃহীত
সালমান শাহ, শাকিব খান, দীপঙ্কর দীপন। ছবি সংগৃহীত

শাকিবকে এই স্বাভাবিক লুকে বড় পর্দায় তুলে ধরা জরুরি মনে করেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ নির্মাতা। ৯০ দশকের আরেক সুদর্শন নায়ক সালমান শাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সালমান শাহ আমাদের মহানায়ক। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটা বড় পরিবর্তন পরিবর্তন এনেছেন। শাকিব খানের লুক প্রসঙ্গে আমি সুদর্শন বলেছি। তা ছাড়া শাকিবও কিন্তু আমাদের চলচ্চিত্রটাকে বিগত কয়েক বছর ধরে একাই বাঁচিয়ে রেখেছেন।’

দীপন মনে করেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য দেশের তারকাদের ইতিবাচক প্রশংসা করা উচিত। কারও সাতটি নেতিবাচক দিক থাকলেও তিনটি ইতিবাচক থাকে। কিন্তু দেখা যায়, ফেসবুকে সামান্য কিছু লাইক-কমেন্টের আশায় মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের দু-তিনটি নেতিবাচক দিক নিয়ে বেশি আলোচনা করা হয়। আবদুল হাদী, খুরশিদ আলম, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, জেমস, কবরী, শাবানা, ববিতা আরও অনেকেই আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁদের কাজ নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশংসা করা উচিত। ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনার অভ্যাস তৈরি হলেই দেশটা বদলে যাবে।’