টোকিওতে বাংলা নাটক

ডাকঘর নাটকের দৃশ্যে অসুস্থ অমলের সঙ্গে ঠাকুরদা
ডাকঘর নাটকের দৃশ্যে অসুস্থ অমলের সঙ্গে ঠাকুরদা
মৃত অমলের জন্য সুধা ও অন্যদের প্রার্থনা
মৃত অমলের জন্য সুধা ও অন্যদের প্রার্থনা

ডাকঘর-এর কাহিনি বঙ্গভাষীদের অনেকের কাছেই পরিচিত। রাজার চিঠির অপেক্ষায় থাকা অসুস্থ বালক অমলকে ঘিরে আবর্তিত সেই কাহিনিতে রবীন্দ্রনাথ জটিল সামাজিক সম্পর্কের অনেক কিছু তুলে ধরেছেন। তবে কাহিনির মূলে থেকে গেছে শয্যাশায়ী সেই অসুস্থ বালক ও তার আরোগ্য লাভের বাসনা। রাজার চিঠি শেষ পর্যন্ত অমলের কাছে পৌঁছায়, তবে সে মৃত্যুর রূপ নিয়ে। নাকানোসে ইয়ুতা সেই অসুস্থ বালকের আকুতি তাঁর সুন্দর অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে চমৎকারভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন। অমলের সঙ্গে পরিচয় হওয়া ফুল কুড়ানো বালিকা সুধার অভিনয়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।
জাপানের এই বাংলা ভাষার ছাত্রছাত্রীরা অবশ্য নিজেদের অজান্তেই নতুন যে এক মাইলফলক স্থাপন করেছেন তা হলো, বিদেশের মাটিতে বিদেশিদের অভিনয়ে প্রথম একটি বাংলা নাটকের সফল মঞ্চায়ন। আর সেই নাটক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে হওয়ায় সেই মাইলফলক হয়ে উঠেছে অনেক বেশি অর্থবহ।
নাটক মঞ্চায়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন টোকিও বিদেশি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শুভা দাশগুপ্ত চক্রবর্তী। তবে তিনি অসুস্থ হয়ে ছুটিতে চলে যাওয়ায় অনুশীলন শুরুর পর সেই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসেন রেডিও জাপানের বাংলা বিভাগের কর্মী অজন্তা গুপ্ত। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কিওকো নিওয়া।

বাংলা ভাষার জাপানি ছাত্রদের নাটক মঞ্চায়নে উপস্থিত ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। সারা বিশ্বে নতুন মাইলফলক গড়ে নেওয়া জাপানিদের বাংলা ভাষার অভিনয়-পারদর্শিতা তিনি মুগ্ধ হয়ে দেখেন এবং নাটকের শেষে অভিনেতা ও অন্য সবাইকে তিনি অভিনন্দন জানান।